নামাজ আদায়ের জন্য আজান দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা ওয়াজিবের কাছাকাছি। এর পাশাপাশি জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য একামত দেওয়া সুন্নত। আজান ও ইকামতের বিধানগুলো ইসলামের অন্যতম নিদর্শন বহন করে। এজন্য ফরজ নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান ও ইকামতের গুরুত্ব অপরিসীম।

আমাদের সমাজে সাধারণত মসজিদে আজান দেওয়া ও নামাজ পড়ানোর জন্য আলাদা আলাদা ইমাম ও মুয়াজ্জিন নিযুক্ত করা থাকে। মুয়াজ্জিন একই সাথে আজান ও ইকামত দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেন। মুয়াজ্জিনের ইকামত দেওয়া শেষ হলেই ইমাম নামাজ পড়ানো শুরু করেন। কিন্তু মসজিদের নির্ধারিত মুয়াজ্জিন না থাকলে অথবা কোনও কারণে মুয়াজ্জিন না থাকলে যদি কখনো ভুলে ইকামত ছাড়া ফরজ নামাজ আদায় করা হয়, তাহলে এই নামাজের বিধান কী হবে?

এই বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদেরা বলেন, ফরজ নামাজ জামাতে পড়ার সময় ইকামত দিয়ে নামাজ পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। মসজিদে এবং জামাতে নামাজ পড়ার সময় ইকামত ছাড়া নামাজ আদায় করা মাকরুহ। একাকী নামাজ পড়ার সময়ও ইকামত দিয়ে নামাজ পড়া উত্তম। যাতে করে তার নামাজটা জামাতের আদলে আদায় হয়। (হালবি কাবিরি : ৩৭২; বাদায়ে সানায়ে : ১/৩৭৭; মাবসুত : ১/১৩৩)

এক হাদিসে হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি নির্জন মরুভূমির দিকে যাত্রা করে এবং পথিমধ্যে নামাজের ওয়াক্ত হয়ে যায়, তাহলে সে চাইলে আজান-ইকামত দিয়ে নামাজ পড়তে পারবে। আর চাইলে সে শুধুমাত্র ইকামত দিয়েও নামাজ পড়তে পারবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ, হাদিস, ২২৮৪)

তবে কোনো কারণে মসজিদের জামাতের সময় ইকামত ছাড়া ফরজ নামাজ পড়লেও তা আদায় হয়ে যাবে। তবে নামাজ সুন্নাতের খেলাফ (সুন্নতের বিপরীত) হবে। সেই সঙ্গে মাকরুহ কাজ করার গুনাহ হবে। তাই এমনটি করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

এনটি