প্রতীকী ছবি

একান্ত প্রয়োজন ও কারণ ছাড়া একজনের রক্ত অন্যের শরীরে স্থানান্তর করা ইসলামি শরিয়তে নিষেধ। তাই রক্ত গ্রহণের বিকল্প নেই, এমন অসুস্থ ব্যক্তিকে রক্ত দেওয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদেরা কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে বলেছেন। বিষয়গুলো হলো-

>> যখন কোনো অসুস্থ ব্যক্তির জীবননাশের আশঙ্কা দেখা দেয় এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারের মতে তার শরীরে অন্যের রক্ত দেওয়া ছাড়া বাঁচানোর কোনো পন্থা না থাকে, তখন রক্ত দিতে কোনো অসুবিধা নেই। বরং এ ক্ষেত্রে ইসলাম রক্ত দিতে উৎসাহ দিয়েছে।

>>  রক্ত দেওয়া প্রয়োজন। অর্থাৎ অসুস্থ ব্যক্তির মৃত্যুর আশঙ্কা নেই, কিন্তু রক্ত দেওয়া ছাড়া তার জীবনের ঝুঁকি বাড়ে অথবা রোগমুক্তি বিলম্বিত হয়; এমন অবস্থায় রক্ত দেওয়া জায়েজ ও জরুরি। 

>> যখন রোগীর শরীরে রক্ত দেওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন দেখা দেয় না, বরং রক্ত না দেওয়ার অবকাশ থাকে; তখন অযথা রক্ত দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। 

>> যখন জীবননাশের এবং অসুস্থতা বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা না থাকে, বরং শুধু শক্তি বৃদ্ধি এবং সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্দেশ্যে হয়; সে অবস্থায় ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক রক্তদান জায়েজ নয়। (ফাতাওয়া আলমগিরি  ৫/৩৫৫; রদ্দুল মুহতার : ৬/৩৮৯)

এইসব শর্তের প্রেক্ষিতে অন্যের কল্যাণে ইসলামে রক্ত প্রদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে অন্যকে রক্ত দিয়ে বিনিময় নেওয়া ইসলামে অবৈধ। কিন্তু যে শর্তের ভিত্তিতে রক্ত দেওয়া জায়েজ, ওই অবস্থায় যদি রক্ত বিনামূল্যে পাওয়া না যায়, তখন রোগী বা তার স্বজনদের জন্য মূল্য দিয়ে রক্ত ক্রয় করা জায়েজ। তবে যে রক্ত দেবে তার জন্য রক্তের মূল্য নেওয়া জায়েজ নয়। রক্ত কেনা কিংবা বেচা উভয়ই মানব জীবননাশের আশঙ্কা তৈরি করে। (আল বাহরুর রায়েক : ৬/১১৫; জাওয়াহিরুল ফিকহ : ২/৩৮)

এনটি