প্রতীকী ছবি

শীতকালে ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা পেতে অজুর সময় মোজার ওপর মাসেহ করার বিধান রাখা হয়েছে ইসলামি শরিয়তে। ঠাণ্ডার কারণে কোনো ব্যক্তির প্রচণ্ড কষ্ট হলে তিনি চাইলে মোজার ওপর মাসেহ করতে পারবেন।

তবে মোজার ওপর মাসেহের জন্য মুসাফির ও মুকিমের জন্য আলাদা আলাদা বিধান রয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘মোজার ওপর মাসেহ করার সময় মুসাফিরের জন্য তিন দিন তিন রাত এবং মুকিমের জন্য এক দিন এক রাত।’ -(আবু দাউদ, ১৩৫)

মুসাফির ব্যক্তি অজু করে মোজা পরিধানের পর থেকে পরবর্তী তিন দিন পর্যন্ত এবং মুকিম ব্যক্তি পরবর্তী একদিন পর্যন্ত যতবার অজু করবেন ততবার পা না ধুয়ে মোজার ওপর মাসেহ করতে পারবেন। মোজার ওপর তিন আঙুল পরিমাণ মাসেহ করে নিলেই চলবে। -(রাদ্দুল মুহতার : ১/২৬০)

তবে সব মোজার ওপরই মাসেহ করা যায় না। (যেমন- সুতা ও নায়লনের মোজার ওপর মাসেহ করলে হবে না।) বরং মোজার ওপর মাসেহ করার জন্য মোজাটি টাখনু পর্যন্ত ঢেকে ফেলে এমন অথবা চামড়ার মোজার গুণে উত্তীর্ণ হতে হবে। 

মোজার ওপর মাসেহের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো- দুই পায়ের মোজার ওপর মাসেহ করা। কারণ, মোজার ওপর মাসেহ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য দুই পায়ে মোজা পরিধান করা শর্ত। কেউ শুধু এক পায়ের মোজার ওপর মাসেহ করলে তার মাসেহ করা ঠিক হবে না। তাই কেউ মোজার ওপর মাসেহ করতে চাইলে তাকে দুই পায়েই মোজা পরতে হবে এবং দুই পায়ের মোজার ওপরই মাসেহ করতে হবে।

(শরহুয যিয়াদাত, কাযীখান ১/১৫৪; ফাতহুল কাদীর ১/১৪১; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৩০; আলহাবিল কুদসী ১/১২৪; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/১৫৩; আলবাহরুর রায়েক ১/১৮৭; রদ্দুল মুহতার ১/২৮০)

এনটি