ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের মৌলিক রুকন বা ভিত্তি পাঁচটি। এর মধ্যে রোজা ও হজ চাঁদ দেখার সঙ্গে সম্পৃক্ত। পবিত্র রমজান মাসের রোজা প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে রোজা রাখে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)

চাঁদ দেখা প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘লোকেরা আপনাকে নতুন মাসের চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি তাদের বলে দিন, এটা মানুষের (বিভিন্ন কাজকর্মের) এবং হজের সময় নির্ধারণ করার জন্য।’ (সুরা আল-বাকারা, আয়াত : ১৮৯)

হাদিস শরিফে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন— 

অন্য বর্ণনায় রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা (নতুন চাঁদ) না দেখা পর্যন্ত রোজা রেখো না এবং তা (নতুন চাঁদ) না দেখা পর্যন্ত রোজা ছেড়ে দিয়ো না।’ (মুআত্তা মালিক,  হাদিস : ৬৩৫)

এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, রমজান শুরু কিংবা ঈদ করার ব্যাপারটা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। কোনো এলাকায় চাঁদ দেখা না গেলে তাদের জন্য রোজা রাখা নিষিদ্ধ।

চাঁদ দেখা যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো এলাকার প্রত্যেকে দেখা জরুরি নয়।  বরং বিশ্বস্ত কোনো ব্যক্তি দেখলেও রোজা শুরু করার অবকাশ রয়েছে।

কেউ কেউ মনে করেন, এই হাদিসের মাধ্যমে একই দিনে বিশ্বব্যাপী রোজা ও ঈদ পালন করা সাব্যস্ত হয়। তাদের দাবি, মহান আল্লাহ মধ্যপ্রাচ্যকে মধ্যস্থল বানিয়েছেন। তাই সেখানে চাঁদ দেখা গেলে সারা বিশ্বে রোজা ও ঈদ পালন করতে হবে! অথচ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা আপনাকে নতুন চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুন, তা হলো মানুষ ও হজের জন্য সময় নির্দেশক।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৯)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরবিদরা বলেন, এখানে ‘আহিল্লাহ’ শব্দ আনা হয়েছে, যার অর্থ একাধিক নতুন চাঁদ, যা একেক উদয়স্থলে একেক দিন উদিত হয়।