প্রতীকী ছবি

নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তায়ালা কোরআন নাজিল করেছেন। পবিত্র কোরআনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা প্রত্যেকের অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে এই কোরআন মহাসম্মানিত। কিতাব আকারে (লিখিত) সংরক্ষিত। পবিত্রগণ ছাড়া আর কেউ এটি স্পর্শ করে না। বিশ্বজাহানের রবের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত। (সূরা ওয়াকিয়া, আয়াত, ৭৭-৮০)

একজন মুমিন, মুসলিম সব সময় কোরআনের প্রতি সম্মানপ্রদর্শনের চেষ্টা করেন। তবে কখনো কখনো ভুলবশত কারো হাত থেকে কোরআনের কপি পড়ে যায়। যেহেতু কোরআন শরিফ সম্মানের বস্তু তাই মুসলিম মাত্রই বিচলিত হয়ে পড়েন এবিষয়টি নিয়ে।

কোরআনের প্রতি সম্মানের জায়গা থেকে অনেকের ধারণা, কখনো অসর্তকতাবশত হাত থেকে যদি কোরআন শরিফ পড়ে যায় তাহলে ওই কোরআন মাজিদের (মুসহাফের) ওজনে চাল সদকা করতে হয়। 

তবে আলেমরা বলেন, কোরআনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জায়গা থেকে এমনটি করা হলেও এই কাজ সঠিক নয়, এটি ভুল প্রচলন। আলেমদের মতে, এখানে আরেকটি আপত্তিকর ও কোরআনের প্রতি এক ধরনের অসম্মানের বিষয় রয়েছে। তাহলো, কোরআন মাজিদ (মুসহাফ) ওজন করা। কোরআন মাজিদের সম্মান করতে গিয়ে মনগড়া পন্থা অবলম্বনের কারণে বলা যায় কোরআনের কপিটির প্রতি অসম্মান হয়ে যাচ্ছে। চিন্তাশীল মানুষ মাত্রই তা উপলব্ধি করতে সক্ষম।

আলেমরা বলেন, সবসময় সাবধানে থাকতে হবে, যেন হাত থেকে মুসহাফ (কোরআনের কপি) পড়ে না যায়। মুসহাফ (কোরআনের কপি) এমনভাবে ধরা যাবে না বা এমন জায়গায় রাখা যাবে না, যাতে তা পড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। এরপরও যদি নিজের অসাবধানতার কারণে পড়ে যায় তাহলে এস্তেগফার করা উচিত এবং অনুতপ্ত হয়ে ‘ইন্নালিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেঊন’ পড়া উচিত। এছাড়াও এই অসাবধানতার কারণে চাইলে এমনিতেই কিছু সদকাও করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, কোরআনের কপি পড়ে যাওয়ার পর তার ওজনে চাল সদকা করা একটি ভুল প্রচলন।

এনটি