শেষ জামানায় সুসংবাদের মাধ্যমে যাদের সান্ত্বনা দিয়েছেন মহানবী সা.
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ইসলাম শুরুতে অপরিচিত ছিল, অচিরেই তা আবার শুরুর মতো অপরিচিত হয়ে যাবে। সুতরাং এমন অপরিচিত অবস্থায়ও যারা ইসলামের উপর টিকে থাকবে তাদের জন্য মুবারাকবাদ (সুসংবাদ)। (সহিহ মুসলিম, হাদিস, ২৭০)
এই হাদিসে ‘পরিচিত’ বলতে অল্প কিছু মানুষকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ শেষ জামানায় অল্প কিছু মানুষই প্রকৃত ইসলামের ওপর থাকবে এবং ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ধারণ করবে। এর বাইরে বংশগত ও নামধারী মুসলমানের সংখ্যা বাড়বে। কিন্তু প্রকৃত মুসলমানের সংখ্যা কমবে এবং কমতে কমতে তা এক পর্যায়ে অল্প কিছু মানুষের মাঝে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অবশিষ্ট থাকবে।
বিজ্ঞাপন
অর্থাৎ, যেমন শুরুতে অল্প কিছু মানুষের মাধ্যমে ইসলামের সূচনা হয়েছিল। এরপর নবুয়তের বরকতে এবং খেলাফতে রাশেদাহর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইসলামের বিজয় সাধিত হয়। কিন্তু খেলাফতের অবর্তমানে মুসলমানের আদর্শিক অবনতি হতে থাকে, যা ইমাম মাহদীর আগমনে সময় পর্যন্ত চলতে থাকবে।
মুসলমানরা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ও আদর্শ থেকে এক সময় এমনভাবে সরে যাবে যে ইসলামের প্রকৃত অনুসারীদের খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়বে। ইসলাম বহির্ভূত বিভিন্ন কাজ ও পাপাচারে লিপ্ত হবে মানুষ। এ সময় যারা ইসলাম মেনে চলার চেষ্টা করবে তাদের নানামাত্রিক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যেতে যাবে, ইসলামের শুরুর দিকে মানুষদের মতো কষ্ট সহ্য করতে হবে।
আর কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও যারা ঈমান এবং ইসলামের ওপর অটল থাকবে তাদের জন্য আল্লাহর রাসূল সুসংবাদ জানিয়ছেন, বলেছেন, অপরিচিত অবস্থায়ও যারা ইসলামের উপর টিকে থাকবে তাদের জন্য মুবারাকবাদ (সুসংবাদ)।
অর্থাৎ,ইসলামের সূচনা হয়েছে মদীনা থেকে। পবিত্র মক্কা থেকে কিছু অপরিচিত মানুষ হিজরত করে মদীনায় আসেন। তাদের মাধ্যমেই ইসলাম শুরু হয়েছে। শেষ যুগে এসে ইসলাম আবারও সে, অবস্থায় ফিরে যাবে। অর্থাৎ সারা বিশ্বে অবিশ্বাসী, ইসলাম বিদ্বেসী, কাফির ও বেঈমানদের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হবে। আর তারা ঈমানদারদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলবে।
এনটি