প্রতীকী ছবি

নামাজ সব সময় আদায় করতে হয়। কোনো গুরুতর অসুস্থতার কারণে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বেশি সময় পর্যন্ত কেউ অজ্ঞান থাকলে তার জন্য সেই নামাজ মাফ করা হয়। এছাড়া নামাজ না পড়ার ক্ষেত্রে কোনো অজুহাতই গ্রহণযোগ্য নয়। কেউ যদি অসুস্থতার কারণে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় নামাজ পড়তে না পারে তার জন্য বসে নামাজ পড়ার বিধান দেওয়া হয়েছে।

তবে অসুস্থতা যদি এতোটাই বেশি হয় যে, বসেও নামাজ পড়া সম্ভব না হয়, তাহলে শুয়ে ইশারার মাধ্যমে নামাজ পড়বে। তখন (অসুস্থের) পা কিবলার দিকে করে শোয়াতে হবে। মাথা সামান্য ওপরে তুলে শোয়াবে; যাতে চেহারা কিবলার দিকে হয়। এরপর ইশারা করে রুকু-সিজদা করবে। সিজদার সময় রুকুর থেকে মাথা একটু বেশি ঝুকানোর চেষ্টা করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ১/২৭৩)

আর অসুস্থ ব্যক্তি যদি মাথা দিয়েও ইশারা করার সক্ষমতা না রাখে— তাহলে এ অবস্থা কতক্ষণ থাকে, তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যদি পাঁচ ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর অবস্থার উন্নতি হয়, তাহলে ওই সব নামাজ মাথা দিয়ে ইশারা করে কাজা করবে। যদি এর চেয়ে বেশি সময়েও উন্নতি না হয়, তাহলে ওই সব নামাজ তার দায়িত্ব থেকে চলে যাবে। এগুলো তাকে আর আদায় করতে হবে না। (মুআত্তা মুহাম্মদ, হাদিস : ২৭৮; দারাকুতনি, হাদিস : ১৮৮৩)