প্রতীকী ছবি

মৃতের মাগফিরাতের জন্য জানাজা ও কাফন-দাফন ইত্যাদি সম্পন্ন করা জীবিত মুসলিমদের ওপর মৃতের অধিকার। শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি অবশ্যিক পালনীয় ফরজ (কেফায়া)। তাই কোনো মুসলমান মারা গেলে, তার জানাজা অবশ্যই আদায় করতে হবে।

জানাজার নামাজ মূলত মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া ও মাগফিরাত। একাধিক মৃতের জানাজা একসঙ্গে পড়া যায়। মহল্লার ইমাম জানাজা পড়ানোর ক্ষেত্রে বেশি হকদার। এরপর মৃতের ওলি বা আত্মীয়-স্বজন। তবে ওলি-আত্মীয় ইমামের চেয়ে বেশি দ্বীনদার হলে তার-ই বেশি হক।

জানাজা নামাজে ইমামতি করার জন্য ইমামের ভেতর এমন যোগ্যতা থাকা অবশ্যক যা অন্যান্য নামাজের জন্যও জরুরি। যেমন, ইমাম প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া, কোরআন তিলাওয়াত বিশুদ্ধ হওয়া এবং মাসআলা-মাসায়েল সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা।

এর বাইরে নাবালক শিশুর জন্য জানাজা নামাজের ইমামতি করা বৈধ হবে না। হাদিস শরিফে এসেছে, মুজাহিদ (রহ.) বলেন, ‘নাবালক বাচ্চা বালেগ হওয়ার আগ পর্যন্ত ইমামতি করতে পারবে না।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদিস, ৩৫০৬)

তাই নাবালক বাচ্চা জানাজার নামাজের ইমামতি করতে পারবে না এবং করলেও তার ইমামতি ঠিক হবে না।

এনটি