প্রতীকী ছবি

কোরআন তিলাওয়াতের মতো মনোযোগ দিয়ে কোরআন তিলাওয়াত শোনাও একটি বড় ইবাদত ও আল্লাহর রহমত লাভের মাধ্যম। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এবং যখন কোরআন পাঠ করা হবে, তখন তোমরা মনোযোগ দিয়ে তা শ্রবণ করবে এবং চুপ করে থাকবে, তাহলে হয়তো তোমরা রহমত প্রাপ্ত হবে।  (সূরা আরাফ, আয়াত, ২০৪)

ইমাম তাবারি রহ. এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা তার মুমিন বান্দাদের এ নির্দেশ দিয়েছেন যে, যখন কোরআন তিলওয়াত করা হয় তখন মনোযোগ দিয়ে তা শ্রবণ করো, যেন ভালোভাবে বুঝতে পারো এবং তা থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে পারো। আর কোরআন তিলাওয়াতের সময় চুপ করে থাকবে যেন তা বুঝতে, হৃদয়ঙ্গম করতে ও তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে পারো। কোরআন তিলাওয়াতের সময় কথা বলবে না তাহলে বুঝতে অসুবিধা হবে। আর এভাবে কোরআন থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে পারলে তোমরা আল্লাহর রহমত অর্জন করতে পারবে। (তাফসিরে তাবারি, ৯/১৬২)

কোরআন তিলাওয়াত শোনার ফজিলত ও বরকত প্রমাণের জন্য এ আয়াতই যথেষ্ট।

এ বিষয়ে একটি হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

(মুসনাদে আহমদ, ২/৩৪১, মাজমাউয যাওয়াইদ, ৭/১৬২, তাফসিরে ইবনে কাসির, ২/২৮২, আব্দুর রাজ্জাক ৩/৩৭৩)

অন্য হাদিসে ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, যদি কেউ আল্লাহর কিতাবের একটি আয়াতও শোনে তাহলে তা কিয়ামতের দিন তার জন্য নূরে পরিণত হবে। (সুনানে দারিমী, ২/৫৩৬, সুসান্নাফু আব্দুর রাজ্জাক, ৩/৩৭৩)

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কখনো সাহাবায়ে কেরামকে দিয়ে কোরআন তিলাওয়াত করাতেন এবং গভীর আগ্রহ নিয়ে তিলাওয়াত শুনতে পছন্দ করতেন।

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আন্হু থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেন, ‘আমার কাছে কোরআন পাঠ করো।’আমি বললাম, আমি আপনার কাছে কোরআন পাঠ করব, অথচ আপনার ওপর কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি অন্যের তিলাওয়াত শুনতে পছন্দ করি।’ (বুখারি, হাদিস, ৫০৫৬)

এনটি