প্রতীকী ছবি

দোয়া কবুলের অন্যতম সময় আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়। বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে এ সময় আল্লাহ তায়ালা দোয়া কবুল করেন।

হাদিসে নিদের্শ দেওয়া হয়েছে আজানের সময় মুয়াজ্জিন যা বলে তাই বলতে হবে (তবে হাইয়া আলা-র সময় লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ- বলতে হয়)।

আজানের উত্তর

হজরত ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আন্হু বলেন, এক ব্যক্তি বললো- হে আল্লাহর রাসূল! মুয়াজ্জিনরা আমাদের থেকে বেশি মর্যাদা অর্জন করছেন। তখন তিনি বলেন,  মুয়াজ্জিনরা যা বলে তুমিও তাই বলো (আজানের জবাব দাও)। যখন শেষ করবে তখন আল্লাহ কাছে চাও, তুমি যা চাইবে, তোমাকে তা দেওয়া হবে। (আবু দাউদ, ১/৭৮ তারগীব, ১/১৭৭, ১৮১)

আজানের জবাব দেওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরুদ পড়তে হয়। এরপর হাদিসে বর্ণিত আজানের শেষের দোয়াটি পড়া এবং নিজের দুনিয়া ও আখেরাতের প্রয়োজনে আল্লাহর কাছে দোয়া করা যেতে পারে।

প্রয়োজনীয় দোয়া

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না। তাই তোমরা এ সময়ে দোয়া করবে। (আবু দাউদ, ১/১৪১, তারগীব, ১/১৮০, মাজমাউয যাওয়াইদ, ১/৩৩৪)

অন্য হাদিসে সাহল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দুটি দোয়া কখনো ফেরত দেওয়া হয় না, বা খুবই কম ফেরত দেওয়া হয়। ১. আজানের সময়ের দোয়া (ইকামতের সময় দোয়া) এবং আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধের সময় করা দোয়া, যখন (মুসলিম ও কাফির) উভয়পক্ষ মুখোমুখী হয় এবং একে অপরের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি যুদ্ধে মিশে যায়। (আবু দাউদ, ৩/২১, মুসতাদরাক হাকিম, ১/৩১৩)

সুন্নত নামাজ

দোয়ার পাশাপাশি এ সময় নির্ধারিত সুন্নত নামাজগুলো পড়া উচিত। আম্মাজান হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মনিষ্ঠভাবে দিন-রাতে ১২ রাকাত নামাজ পড়বে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে; জোহরের (ফরজ নামাজের) আগে চার রাোত ও পরে দুই রাকাত, মাগরিবের পর দুই রাকাত, এশার পর দুই রাকাত এবং ফজরের (ফরজের) আগে দুই রাকাত।’-(নাসাঈ, ইবনে মাজা, হাদিস, ৫৭৭)

এনটি