ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি পেতে যে দোয়া করেছিলেন আছিয়া
মিসরের তৎকালীণ প্রতাপশালী কাফির শাসক ফেরআউন। তার স্ত্রী আছিয়া বিশ্ব জাহানের মালিক আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিলেন। আল্লাহর প্রতি ঈমান এনে তিনি তৎকালীন বিশ্বের সব থেকে মনোরম রাজপ্রাসাদ, আরাম আয়েশ ত্যাগ করেছিলেন। পৃথিবীর এই সুখ-শান্তি তার কাছে তুচ্ছ মনে হয়েছিলো। আল্লাহর ওপর ঈমান এনেই অন্তরের প্রশান্তি পেয়েছিলেন আছিয়া।
তৎকালীন সময়ের আসমানী ধর্ম পালনের কারণে ফেরআউন তার ওপর চরম অত্যাচার-নির্যাতন করেছিলো। ফেরআউনের সৈন্য-সামন্ত তার হাত-পা বেঁধে উত্তপ্ত সূর্যের নিচে ফেলে রাখতো। তাকে কঠিন শাস্তি দিতো। নির্যাতনে তার দেহ রক্তাক্ত-ক্ষতবিক্ষত হয়ে যেতো, কিন্তু শত জুলুম-নির্যাতনের মুখেও তিনি ঈমানের পথ ত্যাগ করেননি।
বিজ্ঞাপন
ফেরআউন যখন দেখলো কোনো নির্যাতনই আছিয়াকে ঈমানের পথ থেকে সরাতে পারছে না, তখন সে নিজের বিশ্বস্ত লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করে আছিয়াকে হত্যার আদেশ দিলো। আছিয়া জীবনের বিনিময়ে নিজের ঈমানকে রক্ষা করেন।
দুনিয়ার রাজপ্রাসাদের বিনিময়ে জান্নাতে আল্লাহর পাশে একটি ঘর চেয়ে দোয়া করেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা তার এই দোয়ার কথা তুলে ধরেছেন এভাবে-
رَبِّ ابۡنِ لِیۡ عِنۡدَکَ بَیۡتًا فِی الۡجَنَّۃِ وَ نَجِّنِیۡ مِنۡ فِرۡعَوۡنَ وَ عَمَلِهٖ وَ نَجِّنِیۡ مِنَ الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ
উচ্চারণ : ‘রাব্বিনি লি ইংদাকা বাইতান ফিল-জান্নাতি ওয়া নাঝঝিনি মিন ফিরআউনা ওয়া আমালিহি ওয়া নাঝঝিনি মিনাল ক্বাওমিজ জ্বালিমিনি।
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! আপনার কাছে আমার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করুন এবং আমাকে ফেরআউন ও তার (কুফরির) কর্ম থেকে নাজাত দিন; আর আমাকে জালিম সম্প্রদায় থেকেও মুক্তি দিন।’ (সুরা তাহরিম, আয়াত ১১)
এনটি