প্রতীকী ছবি

কোরআন তিলাওয়াতকে সর্বোত্তম ইবাদত বলে অভিহিত করেছেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। কোরআন তিলাওয়াতকে প্রশান্তি লাভের মাধ্যমও বলেছেন আল্লাহ তায়ালা। বর্ণিত হয়েছে, ‌‌‌‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।’ (সুরা রা‘দ, আয়াত : ২৮) 

ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন ও অজু করে একাগ্রতার সঙ্গে কোরআন তিলাওয়াত করা উচিত। কোরআন উঁচু স্থানে রেখে বসে তিলাওয়াত করা উত্তম। তবে কেউ শুয়ে তিলাওয়াত করতে চাইলে পারবে। শুয়ে কোরআন তেলাওয়াত করা নিষেধ নয়। বরং শুয়ে তিলাওয়াত করার অনুমতি শরিয়তে রয়েছে। 

বিভিন্ন হাদিসে ঘুমের আগে কোরআনের বিভিন্ন আয়াত তেলাওয়াত করার কথা বর্ণিত হয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

مَنْ قَرَأَ بِالآيَتَيْنِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ

‘কেউ যদি রাতে সূরা বাকারার শেষ দু’টি আয়াত পাঠ করে, সেটাই তার জন্য যথেষ্ট।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫০০৯)

আরেক হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ ثُمَّ نَفَثَ فِيْهِمَا فَقَرَأَ فِيْهِمَا(قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ)وَ (قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ) وَ (قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ) ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

‘প্রতি রাতে রাসূল (সা.) বিছানায় যাওয়ার সময় সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করে দু’হাত একত্র করে হাতে ফুঁক দিয়ে যতদূর সম্ভব পুরো শরীরে হাত বুলাতেন। মাথা ও মুখ থেকে আরম্ভ করে তার দেহের সম্মুখ ভাগের উপর হাত বুলাতেন এবং তিনবার এমন করতেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫০১৭)

এনটি