লোভ-লালসা যেভাবে মানুষের ক্ষতি করে
লোভ সুন্দর জীবনকে এলোমেলো করে দেয়। লোভী মানুষ দুনিয়াতে কখনও সুখী হতে পারবে না, তার একের পর এক অভাব-অনটন লেগেই থাকবে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) লোভ-লালসাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন, তিনি বলেন, ‘তোমরা লোভ-লালসা থেকে বেঁচে থাকো, কেননা এ জিনিসই তোমাদের পূর্ববর্তীদের ধ্বংস করেছে এবং পরস্পরকে রক্তপাত ঘটানোর ব্যাপারে উসকিয়ে দিয়েছে। লোভ-লালসার কারণেই তারা হারামকে হালাল সাব্যস্ত করেছে।’ (মুসলিম)।
বিজ্ঞাপন
আল্লাহর রাসুল (সা.) আরও বলেছেন, ‘আদম সন্তানের যদি দুই উপত্যকা পরিমাণ স্বর্ণ থাকে, তা হলে সে কামনা করে- তার যদি আরেকটি উপত্যকা পরিমাণ স্বর্ণ থাকত! আসলে মাটি ছাড়া কোনো কিছুই তার উদর পূর্ণ করতে পারবে না।’ (তিরমিজি : ২৩৩৭)
লোভ-লালসা নিয়ন্ত্রণ ও দমন করতেই হবে, নইলে মানুষের নৈতিকতার বিকাশ, সৎ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপন করা সম্ভব হবে না। লোভ-লালসা বিভিন্ন রকমের হতে পারে। যেমন অর্থ-সম্পদ, মান-সম্মান, প্রভাব-প্রতিপত্তি, ক্ষমতা, পদমর্যাদা, প্রসিদ্ধি ও সুখ্যাতি লাভের প্রবল লোভ মানব চরিত্র গঠন ও সংশোধনের পথে বিরাট অন্তরায়। এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যা দ্বারা আল্লাহ তোমাদের কাউকে অপর কারও ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, তোমরা তার লালসা করো না।’ (সুরা নিসা : ৩২)
প্রকৃতপক্ষে ধন-সম্পদের লিপ্সা ও খ্যাতির প্রতি অতিশয় মোহ নিতান্তই ক্ষতিকারক। নবী করিম (সা.) উপমাসহকারে বলেছেন, ‘দুটি ক্ষুধার্ত নেকড়ে বাঘ ছাগলের পালে ছেড়ে দিলে যে রকম ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, সম্মান লিপ্সা ও সম্পদের লোভ মানুষের দ্বীনের জন্য তার চেয়েও বেশি ক্ষতিকর।’ (তিরমিজি)।
হজরত মূসা আ: আল্লাহ তায়ালকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহ! প্রকৃত ধনী কে? আল্লাহ বললেন, ‘যে লোভ করে না সেই প্রকৃত ধনী’। (সুনানে তিরমিজি) তাই প্রকৃত মুমিন হতে হলে লোভ-লালসা পরিহার করতে হবে।
এনটি