প্রতীকী ছবি

দু্ই রাকাত বা চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজের শেষ বৈঠক ফরজ। আর চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজের দ্বিতীয় রাকাতে বসা ওয়াজিব। হাদিসের আলোকে নামাজের বৈঠকে বসার কিছু সুন্নত পদ্ধতী রয়েছে।

এখানে তুলে ধরা হলো-

>> বাম পা বিছিয়ে তার ওপর বসা। ডান পা সোজাভাবে খাড়া রাখা। দুই পায়ের আঙ্গুলগুলো সাধ্যমত কিবলার দিকে মুড়িয়ে রাখা। (নাসাঈ, হাদিস, ১১৫৮)

>> দুই হাত রানের ওপর হাঁটু বরাবরা রাখা এবং দৃষ্টি দুই হাঁটুর মাঝ বরারব রাখা। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস, ১৬১০৬)

>> তাশাহুদ পড়ার সময় ‘আশহাদু’ পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলির মাথা এক সঙ্গে মিলিয়ে গোলাকার বৃত্ত বানানো এবং অনামিকা ও কষ্ঠিাঙ্গুলি মুড়িয়ে রাখা এবং ‘লা ইলাহা’ বলার সময় শাহাদাত আঙ্গুল সামান্য উঁচু করে ইশারা করা। এরপর ‘ইল্লাল্লাহু’ বলার সময় আঙ্গুলের মাথা সামান্য ঝুঁকানো। হাঁটুর সঙ্গে না লাগানো। (আবু দাউদ, ৭২৬, নাসাঈ, হাদিস, ১২৭৪)

>> আখেরি বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পর দরুদ শরীফ পড়া। (তিরমিজি, হাদিস, ৩৪৭৭)

>> দরুদ শরীফের পর দোয়ায়ে মাসুরা পড়া। ( বুখারি শরিফ, হাদিস, ৮৩৪, তিরমিজি, হাদিস, ৫৯৩)

>> উভয় দিকে সালাম ফেরানো। (তিরমিজি, হাদিস, ২৯৫)

>> ডান দিকে আগে সালাম ফিরানো। উভয় সালাম কিবলার দিক থেকে আরম্ভ করা এবং সালামের সময় দৃষ্টি কাঁধের দিকে রাখা। (মুসলিম, হাদিস, ৫৮২)

>> ইমামের উভয় সালামে মুক্তাদী, ফেরেশতা ও নামাজি জ্বিনদের প্রতি সালাম ফেরানোর নিয়ত করা। (মুসলিম, হাদিস, ৪৩১)

>> মুক্তাদিরা উভয় সালামে ইমাম, অন্যান্য মুসল্লি, ফেরেশতা ও নামাজি জ্বিনদের প্রতি সালাম করার নিয়ত করা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস, ৩১৪৯, ৩১৫২)

>> একাকী নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি শুধু ফেরেশতাদের প্রতি সালাম করার নিয়ত করবেন। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস, ৩১৪০)

>> ইমামের সালাম ফেরানোর পরপরই মুক্তাদির সালাম ফেরানো। (বুখারি, হাদিস, ৮৩৮)

>> দ্বিতীয় সালাম প্রথম সালামের থেকে আস্তে বলা। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ, হাদিস, ৩০৫৭)

>> ইমামের দ্বিতীয় সালাম ফেরানো শেষ হলে মাসবুকের ছুটে যাওয়া নামাজ আদায়ের জন্য দাঁড়ানো। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস, ৩১৫৬)

এনটি