ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র কাবায় এই শুক্রবার (১১ আগস্ট) জুমার নামাজের নির্ধারিত ইমাম ছিলেন শায়খ ড. মাহির আল-মুয়াইকিলি। নিয়ম অনুযায়ী খুতবা শেষে নামাজের ইমামতি করতে যান তিনি। 

তবে নামাজ শুরুর পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় পেছন থেকে দ্রুত এগিয়ে এসে নামাজ পূর্ণ করেন কাবার আরেক ইমাম ও মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর ধর্মীয় বিষয়ক প্রশাসনের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস। 

গতকাল হঠাৎ করেই এমন দৃশ্যের সাক্ষী হতে হয়েছে সজিদুল হারামের জুমার মুসল্লিদের

জানা গেছে, নামাজ শুরুর আগেই কিছুটা ক্লান্তিবোধ করছিলেন শায়খ ড. মাহির আল-মুয়াইকিলি। এ কারণে দ্বিতীয় খুতবা সংক্ষিপ্ত করেন তিনি। এরপর জুমার নামাজ শুরু করলেও সুরা ফাতেহা শেষ করা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি।

সূরা ফাতিহার পঞ্চম আয়াতে ‘ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম’ পর্যন্ত তিলাওয়াতের পর তার কণ্ঠস্বর আর শোনা যায়নি। এমন সময় তিনি পেছনে চলে যান এবং পেছনের সারি থেকে দ্রুত শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস এগিয়ে আসেন। তারপর তিনিই মুসল্লিদের নিয়ে নামাজ সম্পন্ন করেন। 

মুহূর্তেই এই ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমগুলোতে। এতে করে মুসল্লি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা শায়খ ড. মাহির আল-মুয়াইকিলির স্বাস্থ্যের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং তার সুস্থতার জন্য মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ দোয়া কামনা করেন।

অবশ্য পরে পবিত্র দুই মসজিদের ধর্মবিষয়ক বিভাগের পক্ষ থেকে শায়খ মাহের আল-মুয়াইকিলির সুস্থতার ব্যাপারে সবাইকে আশ্বস্ত করা হয়।

এক বিবৃতিতে শায়খ আল-সুদাইস জানিয়েছেন, শায়খ মাহির এখন সুস্থ রয়েছেন। তার গুরুতর কোনো সমস্যা হয়নি। হয়তো তীব্র তাপমাত্রায় ক্লান্তিবোধ থেকে এমনটি ঘটেছে। তিনি সবার কাছে শায়খ মাহিরের পুরোপুরি সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেন। 

তিনি আরো জানান, ইসলামী শরিয়তে প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে ইমাম পেছনে সরে আসার নিয়ম রয়েছে। এরপর পেছন থেকে কেউ সামনে যাবেন এবং সবার ইমাম হিসেবে নামাজ সম্পন্ন করবেন।

হাদিসে এমন ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। একদিন ওমর (রা.) ফজর নামাজে আবদুর রহমান বিন আউফ (রা.)-কে তার স্থানে নিয়ে আসেন এবং আবদুর রহমান (রা.) মুসল্লিদের নিয়ে বাকি নামাজ পূর্ণ করেন। 

সূত্র : আল-অ্যারাবিয়া, আলজাজিরা মুবাশির, ইনসাইড দ্য হারামাইন

এনটি