প্রতীকী ছবি

কোরআন শরিফ তিলাওয়াত নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‌‌‌‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।’ (সুরা রা‘দ, আয়াত : ২৮) 

আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর কিতাব থেকে একটি অক্ষর তেলাওয়াত করল তার বিনিময়ে সে একটি নেকী পাবে, আর একটি নেকীর বদলা হবে দশগুণ, একথা বলছি না যে, আলিফ-লাম-মীম, একটি অক্ষর বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর, মীম একটি অক্ষর।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৯১০)

আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআন তেলাওয়াতে পারদর্শী ব্যক্তিরা সম্মানিত ফেরেশতাগণের সঙ্গে থাকবে। আর যারা আটকিয়ে কষ্ট করে কোরআন তেলাওয়াত করে তারা দ্বিগুণ সওয়াব পাবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১৮৯৮)

এককভাবে হোক বা সম্মিলিতভাবে, নিচু আওয়াজে হোক বা জোরে আওয়াজ করে যেকোনোভাবে কোরআন শরিফ তিলাওয়াত করার অনুমতি রয়েছে। তবে জোরে আওয়াজ করে কোরআন তিলাওয়াত করার কারণে যদি কোনও নামাজরত বা ঘুমন্ত ব্যক্তির ব্যাঘাত ঘটে তাহলে জোরে আওয়াজ করে কোরআন তিলাওয়াত না করে আস্তে তিলাওয়াত করা উচিত। 

তাই মসজিদে অথবা অন্য কোনও জায়গায় কোরআন তিলাওয়াত করার সময় যদি তিলাওয়াতের কারণে নামাজরত ব্যক্তির ইবাদতে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা থাকে তাহলে আশপাশে ফাঁকা জায়গায় গিয়ে কোরআন তিলাওয়াত করবে। কিন্তু আশপাশে ফাঁকা জায়গা থাকা সত্ত্বেও কোনও নামাজি ব্যক্তির পাশে কোরআন তিলাওয়াত করা অনুচিত। 
যদি আশপাশে ফাঁকা জায়গা না থাকে তাহলে প্রয়োজনে তিলাওয়াত করতে পারবে, তবে আস্তে আওয়াজে তিলাওয়াত করাই উত্তম। (রদ্দুল মুহতার, ১/৬৬০, খাইরুল ফাতাওয়া, ১/২৪৮, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত, ২/৮৫)

এনটি