প্রতীকী ছবি

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, কোরআনের সর্বশেষ সূরা হিসেবে নাজিল হয়েছে সূরা নাসর। অর্থাৎ এরপর আর সম্পূর্ণ কোনও সূরা অবতীর্ণ হয়নি। কিছু রেওয়ায়েতে এই সূরা অবতীর্ণ হওয়ার পরেও কোনও কোনও আয়াত নাজিল হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তা এর পরিপস্থী নয়। কারণ সম্পূর্ণ সূরা হিসেবে এটিই সর্বশেষ অবতীর্ণ সূরা।

একই অর্থে সূরা ফাতেহাকে কোরআনের সর্বপ্রথম অবতীর্ণ সূরা বলা হয়। অর্থাৎ, সম্পূর্ণ সূরা হিসেবে সূরা ফাতেহাই সর্বপ্রথম নাজিল হয়েছে। সূরা আলাক, মুদ্দাসির-ইত্যাদির কোনও কোনও আয়াত সর্বপ্রথম নাজিল হওয়া এর পরিপন্থী নয়।

হজরত ইবনে ওমর রা. বলেন, সূরা নাসর বিদায় হজে অবতীর্ণ হয়েছে। এরপর  

اَلۡیَوۡمَ اَکۡمَلۡتُ لَکُمۡ دِیۡنَکُمۡ وَ اَتۡمَمۡتُ عَلَیۡکُمۡ نِعۡمَتِیۡ وَ رَضِیۡتُ لَکُمُ الۡاِسۡلَامَ دِیۡنًا 

‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দীন হিসাবে মনোনীত করলাম’। সূরা মায়েদা,(৫) আয়াত, ৩) -এই আয়াতটি নাজিল হয়েছে। এরপর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আর মাত্র ৮০ দিন জীবিত ছিলেন। 

এরপর ৪৫ দিন বাকি থাকার সময় - 

لَقَدْ جَآءَكُمْ رَسُولٌ مِّنْ أَنفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُم بِٱلْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ

তোমাদের নিকট আগমন করেছে তোমাদেরই মধ্যকার এমন একজন রাসূল যার কাছে তোমাদের ক্ষতিকর বিষয় অতি কষ্টদায়ক মনে হয়, যে হচ্ছে তোমাদের খুবই হিতাকাংখী, মু’মিনদের প্রতি বড়ই স্নেহশীল, করুণাপরায়ণ। (সূরা তাওবা, (৯) আয়াত, ১২৮)

আয়াতটি অবতীর্ণ হয় এবং একুশ দিন বাকি থাকার সময় - 

وَاتَّقُوا يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى اللَّهِ ۖ ثُمَّ تُوَفَّىٰ كُلُّ نَفْسٍ مَّا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ

আর তোমরা সেই দিনের ভয় কর যেদিন তোমরা আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে, তখন যে যা অর্জন করেছে তা সম্পূর্ণ রূপে প্রদত্ত হবে এবং তারা অত্যাচারিত হবেনা।( সূরা বাকারাহ, আয়াত, ২৮১) আয়াতটি নাজিল হয়।

(কুরতুবী, তিবরানী, তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন, ৮ম, খণ্ড, ৮৮৪, তাফসিরে মাযহারী, ১২ তম খণ্ড, ৬১৫, তাফসিরে ইবনে কাসির, ১৮ খণ্ড, ৩০৬)

এনটি