প্রতীকী ছবি

বিয়ের উপযু্ক্ত বয়স হয়ে গেলে তরুণ ও যুবক-যুবতিদের ক্ষেত্রে দেরি না করার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

কোরআন-হাদিসে বিয়ের গুরুত্ব

এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত আলী রা.-কে লক্ষ্য করে বলেন, ‘হে আলী! তিনটি জিনিসের ক্ষেত্রে বিলম্ব করবে না। ১. নামাজের যখন সময় আসবে তখন নামাজ আদায় করা থেকে দেরি করবে না। ২. মৃত ব্যক্তির জানাজা যখন উপস্থিত হবে তখন কাফন-দাফন সম্পন্ন করতে দেরি করবে না। ৩. কোন অবিবাহিতা মেয়ের জন্য যখন কোন উপযুক্ত পাত্র পাবে তখন তাকে পাত্রস্থ করা থেকে বিলম্ব করবে না।’ -(তিরমিজি ১/২০৬)

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস-দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবি হলে (চরিত্র রক্ষার জন্য যদি বিয়ে করে তবে) আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩২)।

বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর একে অপরকে দেখা...

বিয়ের আগে হবু বর-কনের একে অপরকে দেখার প্রচলন রয়েছে সমাজে। বিয়ে উদ্দেশ্যে পাত্র-পাত্রীর দেখা হওয়ার বিষয়টি মুস্তাহাব।

বর্তমান অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে সরাসরি একে অপরকে দেখার আগে মোবাইল, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, মেসেঞ্জার বা বিভিন্ন চ্যাট মাধ্যমে ছবি শেয়ার করে পাত্র-পাত্রী একে অপরকে দেখে থাকেন।

এ বিষয়ে আলেমরা বলেন, শরীয়তের দৃষ্টিতে এ কাজটি নি:শর্তভাবে জায়েজ নেই। তবে বিয়ের জন্য কিছু শর্ত সাপেক্ষে তা জায়েজ। যেমন- ছবি শালীন হতে হবে, ছবি অন্য কোন গায়রে মাহরাম ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করা যাবে না এবং প্রস্তাবদাতা ছবি নিজের কাছে স্থায়ীভাবে রাখবে না।

হাদিসে বিয়ের আগে কনে দেখার কথা...

বিয়ের আগে পাত্রী দেখার বিষয়ে এক হাদিসে আবু হুরায়রা রা. বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, আমি আনসারদের এক মেয়েকে বিয়ে করতে চাই। তিনি বললেন, তুমি তাকে প্রথমে দেখে নাও। কারণ আনসার মহিলাদের চোখে দোষ থাকে (মুসলিম, হাদিস, ১৪২৪, মিশকাত, হাদিস, ৩০৯৮ ‘বিবাহ’ অধ্যায়)। 

তিনি আরেক হাদিসে বলেন, যখন তোমাদের কেউ কোন পাত্রীকে প্রস্তাব দিবে সম্ভব হলে সে যেন পাত্রীকে দেখে। যা বিয়ের জন্য সহায়ক হবে (আবু দাউদ, হাদিস, ২০৮২; মিশকাত, হাদিস, ৩১০৬; ৯৯)। 

অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পাত্রী দেখার মাধ্যমে পরস্পরের ভেতর মহববত সৃষ্টি হয়। (ইবনু মাজাহ, হাদিস, ১৮৬৫; মিশকাত, হাদিস, ৩১০৭;৯৬)। হাদিসের আলোকে বলা যায়, বিয়ের আগে শরয়ী শর্ত সাপেক্ষে পাত্রীকে অথবার তার ছবি দেখা যাবে এবং পাত্রীও পাত্রকে বা তার ছবি দেখতে পাবে।

এনটি