প্রতীকী ছবি

প্রতিদিন আমরা পাঁচবার ফরজ নামাজ আদায় করি। ফরজ নামাজের বাইরেও প্রত্যেক ওয়াক্তে কিছু সুন্নত নামাজ রয়েছে যা ফরজ-ওয়াজিবের মতো অপরিহার্য নয়, তবে তা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিয়মিত আমল থেকে প্রমাণিত। নিয়মিত এই নামাজগুলো পড়তেন, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কখনো ছাড়তেন না। এমন নামাজগুলোকে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলা হয়।

প্রতিদিন ফরজ নামাজের আগে-পরের এমন সুন্নত নামাজ ১২ রাকাত। সেগুলো হলো- জোহরের আগে চার রাকাত। পরে দুই রাকাত। মাগরিবের পরে দুই রাকাত। এশার পরে দুই রাকাত। ফজরের আগে দুই রাকাত। এর বাইরে রমজান মাসে তারাবির নামাজ আদায় করাও সুন্নতে মুয়াক্কাদা।

এ সম্পর্কে এক হাদিসে উম্মে হাবিবা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি দিনে-রাতে ১২ রাকাত নামাজ পড়ে তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি বানানো হয়। জোহরের আগে চার রাকাত। পরে দুই রাকাত। মাগরিবের পরে দুই রাকাত। এশার পরে দুই রাকাত। ফজরের আগে দুই রাকাত।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৬৩৬২)

এ ধরনের সুন্নত নামাজগুলোর বিধান হলো, এসব সুন্নত কোনও কারণ ছাড়া নিয়মিত ছেড়ে দেওয়া গুনাহ, তবে হঠাৎ বিশেষ প্রয়োজনে ছাড়তে পারবে। কারণ ছাড়া এমন সুন্নত ছেড়ে দেওয়া ব্যক্তিকে তিরস্কার করা হবে, তবে তাকে ফাসিক বা কাফির বলা যাবে না। (আত-তাআরিফাতুল ফিক্বহিয়্যাহ : ৩২৮, আল-মুজিজ ফি উসুলিল ফিকহ : ৪৩৯-৪০)। সুন্নতে মুয়াক্কাদা ওয়াজিবের মতোই।

অর্থাৎ ওয়াজিবের ব্যাপারে যেমন জবাবদিহি করতে হবে, তেমনি সুন্নতে মুয়াক্কাদার ক্ষেত্রে জবাবদিহি করতে হবে। তবে ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার জন্য সুনিশ্চিত শাস্তি পেতে হবে, আর সুন্নতে মুয়াক্কাদা ছেড়ে দিলে কখনো মাফ পেয়েও যেতে পারে। তবে শাস্তিও পেতে পারে।

ফরজ নামাজের আগে-পরে সুন্নত নামাজগুলো আদায় করার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।  হাদিসে সেগুলোকে জান্নাতে যাওয়ার মাধ্যম বলা হয়েছে। 

এনটি