ছবি : সংগৃহীত

হজ ওমরার গুরুত্বপূর্ণ বিধান তাওয়াফ পালন করতে হয় মসজিদুল হারামে প্রবেশ করে। মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে গিয়ে অনেকে কিছু কিছু ভুল করে থাকেন। যেগুলো থেকে বেঁচে থাকা জরুরি।

এমন কিছু ভুল হলো-

>> কারও কারও ধারণা হজ বা ওমরা পালন করতে যাওয়া ব্যক্তিকে মসজিদুল হারামের নির্দিষ্ট একটি গেট দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। যেমন, কেউ কেউ মনে করেন— ওমরা পালনকারীকে অবশ্যই 'বাবুল উমরা' (উমরা গেট) দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। 

আবার কেউ কেউ মনে করেন, ওমরা পালনকারীকে অবশ্যই 'বাবুস সালাম' (সালাম গেট) দিয়ে প্রবেশ করতে হবে, অন্য গেট দিয়ে প্রবেশ করা গুনাহ কিংবা মাকরূহ। 

আলেমদের মতে, এ ধারণার কোন ভিত্তি নেই। বরং হজ ও ওমরা পালনকারী যেকোন গেট দিয়ে প্রবেশ করতে পারেন। 

>> আবার কেউ কেউ মসজিদুল হারামে প্রবেশের পর কাবাঘর দেখার সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু দোয়া পড়ে থাকেন। এটাকে আলেমরা বিদয়াত বলে গণ্য করেন। 

>> হজ-ওমরা পালনকারী ছাড়াও অন্য অনেকে সাধারণ মুসল্লির মাঝে প্রচলিত একটা ধারণা হলো- মসজিদুল হারামে প্রবেশ করলেই কাবাঘর তাওয়াফ করা এবং তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামাজ পড়া সুন্নত। এ বিষয়টিকে আবশ্যক মনে করা উচিত হবে না।

কারণ, মসজিদুল হারাম ও অন্য যেকোনও মসজিদে প্রবেশের পর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়ার কথা বলেছেন। বর্ণিত হয়েছে, ‘যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করে তখন সে যেন দুই রাকাত নামাজ না-পড়ে না-বসে’। ( বুখারী, ৪৪৪, মুসলিম, ৭১৪)

হজ ওমরার তাওয়াফ বা অন্য যেকোনও নফল তাওয়াফের নিয়তে কেউ মসজিদুল হারামে প্রবেশে করলে তার জন্য শুধু তাওয়াফ করাই যথেষ্ট। তাওয়াফের বাইরে অন্য কোনও নিয়তে মসজিদুল হারামে প্রবেশ করলে- যেমন, কেউ যদি মসজিদুল হারামে নামাজের অপেক্ষা বা কোনও শায়খের দরসে (ক্লাসে) উপস্থিত বা অন্য কোনও নিয়তে প্রবেশ করে তাহলে তার জন্য সাধারণভাবে মসজিদে প্রবেশের কারণে দুই রাকাত নামাজ পড়া উত্তম। কিন্তু মসজিদুল হারামে প্রবেশের কারণে বিশেষভাবে নামাজ পড়া জরুরি মনে করা উচিত হবে না।

(ইসলাম সুওয়াল ওয়া জাওয়াব, অনলাইন, ৩৪৮৬৯ নম্বর ফাতাওয়া, দালিলুল আখতা আল্লাতি ইয়াকাউ ফিহাল হাজ্জ ওয়াল মুতামির, শাইখ উছাইমীন)

এনটি