প্রতীকী ছবি

হজ-ওমরার জন্য ইহরাম বাঁধতে হয়। ইহরামের জন্য হাজীরা সাদা কাপড় পরেন। নবীজি (স.) এ ধরণের কাপড় পরিধান করতেন এবং সাহাবিরাও একই নিয়মে হজ ওমরা পালন করেছেন।

ইহরামের কাপড় হিসেবে হাজিদের মধ্যে সাদার প্রচলন মূলত আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের অনুসরণের কারণে। সাদা কাপড় পরিধানের বিষয়ে হজরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেন, البَسُوا مِنْ ثِيَابِكُمُ البَيَاضَ، فَإِنَّهَا مِنْ خَيْرِ ثِيَابِكُمْ، وَكَفِّنُوا فِيهَا مَوْتَاكُمْ ‘সাদা পোশাক পরিধান করো। কেননা, তা পবিত্র ও উত্তম। তোমাদের মৃতদের তার দ্বারাই কাফন প্রদান করো।’ (নাসায়ি, আবু দাউদ: ৪০৬১; তিরমিজি: ৯৯৪) 

এ ছাড়া সাদা পরিতৃপ্তি, বিশুদ্ধতা, জন্ম, সরলতা, পরিচ্ছন্নতা, শান্তি, নম্রতা, নির্ভুলতা, শীতকালীন, বরফ, ভালো, জবরদস্তি, বিবাহ (পশ্চিমা সংস্কৃতি), ঠাণ্ডা প্রভৃতি ভাব প্রকাশে সাহায্য করে। তাই ইসলামে সাদা পোশাকের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। 

এছাড়া ইহরামে অভিন্ন পোশাক মুসলমানদের পারস্পরিক ঐক্য, সাম্য ও সৌহার্দ্যরে ইঙ্গিত বহন করে। মহান প্রভুকে হাজিরা দেওয়ার জন্য এটি পবিত্র ও পরিচ্ছন্নতার প্রতীক। গোলাম হিসেবে নিরহংকার ও আদবের প্রতীক। জীবিত থাকতেই মৃত্যুর প্রতীক।

ইহরামের সাদা কাপড় ইঙ্গিত করে, মুসলমানদের জীবন-যাপন সাদাসিধা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, নিরহংকার নির্বিলাস হওয়া উচিত। ইহরামের পোশাক পরে হাজীরা যখন ‘লাব্বাইকা, আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা’ বলে তালবিয়া পাঠ করে, তখন তাঁর ডানে ও বাঁয়ে পাথর, বৃক্ষরাজি, মাটি সব কিছুই তার সঙ্গে তালবিয়া পাঠ করে; এমনকি পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত পর্যন্ত (তালবিয়া পাঠকারীদের দ্বারা) পূর্ণ হয়ে যায়।’ (তিরমিজি: ৮২৮) 

এনটি