প্রতীকী ছবি

হজ ও ওমরার গুরুত্বপূর্ণ ও প্রথম বিষয় হলো ইহরাম। নির্দিষ্ট স্থান থেকে হজ ও ওমরার নিয়তে নির্ধারিত নিয়মে ইহরাম বাঁধতে হয়। ইহরামের সুনির্ধারিত কিছু নিয়ম ও কাজ রয়েছে। যা যথাযথ আদায় করতে হয়।

ইহরামের কাপড় কেনার ক্ষেত্রে ব্যক্তির শরীরের গঠন অনুযায়ী সাইজের প্রতি খেয়াাল রাখতে হবে। কারণ, ইহরামের কাপড় সবার জন্য সমান নয়। বড় ছোট মাঝারি সাইজের হয়, যদিও সাইজ লেখা থাকে না। এজন্য কাপড় কেনার আগে ভালো করে সাইজ দেখে নিতে হবে। হজের সময় যেকোনও ধরণের ঝামেলা এড়াতে কমপক্ষে তিন সেট ইহরামের কাপড় নেওয়া ভালো।

ইহরামের কাপড় হিসেবে পুরুষের জন্য শরীর বা কোনো অঙ্গের আকার অনুযায়ী তৈরিকৃত বা সেলাইকৃত কাপড় পরা নিষিদ্ধ। যেমন- পাঞ্জাবি, জুব্বা, শার্ট, সেলোয়ার, প্যান্ট, গেঞ্জি, কোট, সোয়েটার, জাঙ্গিয়া ইত্যাদি।

আব্দুল্লাহ্‌ বিন উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলুল্লাহ্! মুহরিম ব্যক্তি কী ধরণের কাপড় পরিধান করবে? তখন রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, জামা, পাগড়ি, পায়জামা, টুপি ও মোজা পরিধান করবে না। তবে কারো জুতা না থাকলে সে মোজা পরিধান করবে। কিন্তু মোজার নিম্নাংশ থেকে কেটে ফেলতে হবে। (সহিহ বুখারী, ১৫৪৩ম সহিহ মুসলিম,১১৭৭)

ইহরামের কাপড় ছিঁড়ে গেলে তা সেলাই করে কিংবা জোড়া দিয়ে পরিধান করা যাবে। তবে ইহরামের কাপড় এ ধরনের সেলাইমুক্ত হওয়াই ভালো। -(রদ্দুল মুহতার ২/৪৮১, শরহু লুবাবিল মানাসিক ৯৮)

এনটি