ছবি : সংগৃহীত

হজ ও ওমরার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তাওয়াফ করা। তাওয়াফ বলা হয়, কাবা ঘরের চারপাশে ৭ বার প্রদক্ষিণ করা। তাওয়াফ শুরু করতে হয়, হাজরে আসওয়াদ যে কোনায় অবস্থিত, সেখান থেকে তাওয়াফের জায়গার ওপর দিয়ে মসজিদে হারামের দিকে একটা দাগ দিয়ে চিহ্নিত করে দেয়া আছে। সে দাগে দাঁড়িয়ে বাইতুল্লাহর দরজার দিকে অগ্রসর হওয়া। অগ্রসর হওয়ার সময় নামাজের নিয়তের মতো করে কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ‘‌বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার` বলে প্রদক্ষিণ শুরু করা এবং তাওয়াফের দোয়া পড়া।

ওমরাহ ও হজের তাওয়াফ ব্যতীত নফল তাওয়াফও করা যায়। যেমন- রাসুল (সা.), সাহাবা-আওলিয়া, আহলে বাইত, মা-বাবা ও অন্যান্য মুরুব্বি বা সন্তানদের স্মরণে কিংবা তাদের নামে তাওয়াফ করা।

তাওয়াফে সাতটি কাজ ওয়াজিব-

১. শরীর পবিত্র রাখা, অজু করা। নারীদের জন্য ঋতুস্রাব অবস্থায় তাওয়াফ করা জায়েজ নেই।
২. সতর ঢাকা। অর্থাৎ যেটুকু ঢাকা প্রত্যেক পুরুষ-নারীর জন্য ফরজ।

৩. ‘হাতিমে কা’বার’ বাইরে থেকে তাওয়াফ করা।
৪. হেঁটে তাওয়াফ করা। অক্ষম ব্যক্তি খাটিয়ার মাধ্যমে তাওয়াফ করতে পারেন।

৫. ‘হাজরে আসওয়াদ’ থেকে শুরু করে ডানদিক দিয়ে তাওয়াফ শুরু করা।
৬. এক নাগাড়ে বিরতিহীনভাবে ‘সাতবার চক্কর’ দিয়ে তাওয়াফ পূর্ণ করা।

৭. ‘সাত চক্করে’ এক তাওয়াফ; এটা পূর্ণ হলেই ‘তাওয়াফের’ নামাজ পড়া।

তাওয়াফ সাধারণত হেঁটে হেঁটে করা হয়। তবে কেউ হাঁটাচলায় পরিপূর্ণ অক্ষম, কিংবা যদি এমন অসুস্থ হয় যে হেঁটে তাওয়াফ-সায়ি করতে গেলে অসুস্থতা বেড়ে যাবে, তার জন্য হুইলচেয়ার কিংবা ইলেকট্রিক স্কুটার ব্যবহার করার সুযোগ আছে। তবে সামান্য অজুহাতে তাওয়াফ-সায়িতে হুইলচেয়ার বা ইলেকট্রিক স্কুটার ব্যবহার করার অনুমতি নেই। কেউ করলে তাঁর ওপর দম ওয়াজিব হবে।  (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা : ১৩৩০৩, ১৩৩১১, ১৩৩১৫, বাদায়েউস সানায়ে : ২/৩১৯, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/২৪৭, আলমুগনি ইবনে কুদামা : ৫/২৪৯-২৫০)

এনটি