এক মুসলিমের কাছে অপর মুসলিমের যেসব পাওনা
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করা মুসলিম জাতি একদেহের মতো। এক আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও রাসুলের আদর্শ অনুসরণের কারণে শত বাধা-বিপত্তি ও সীমানাপ্রাচীর ডিঙিয়ে সবাই ভাই ভাই।কারো মাঝে কোনও ভেদাভেদ নেই।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সব মুসলমান একটি দেহের মতো, যদি তার চোখ অসুস্থ হয় তাহলে পুরো শরীর অসুস্থ হয়ে যায়; যদি তার মাথা অসুস্থ হয় তাহলে পুরো শরীর অসুস্থ হয়ে যায়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৭৫৪)
বিজ্ঞাপন
মুমিন-মুসলিমদের পরস্পরের সম্পর্ক নিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১০)
অপর আয়াতে আল্লাহ আরো বলেন, ‘মুহাম্মদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচররা অবিশ্বাসীদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল। ’(সুরা ফাতাহ, আয়াত : ২৯)
এক কালিমা ও ঈমানের বলে বলীয়ান মুসলিমদের পারস্পরিক সম্পর্ক-সম্প্রীতি ও সৌহাদ্য বৃদ্ধির জন্য ৬টি বিষয় অনুসরণ করতে বলেছেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এই বিষয়গুলোকে তিনি একজনের কাছে অপরের পাওনা হক বা অধিকার বলে অভিহিত করেছেন।
এক মুসলিমের কাছে অপর মুসলিমের যেসব পাওনা
হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, 'একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের ছয়টি হক আছে । প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল ! সেগুলো কী কী ? তিনি বললেন,
(এক) কারও সঙ্গে সাক্ষাত হলে সালাম বিনিময় করা।
(দুই) কেউ আমন্ত্রণ করলে তা গ্রহণ করা।
(তিন) পরামর্শ বা উপদেশ চাইলে সৎ উপদেশ দেওয়া।
(চার) হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বললে উত্তরে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা।
(পাঁচ) অসুস্থ হলে সাক্ষাৎ করে খোঁজ খবর নেওয়া এবং (ছয়) মৃত্যুবরণ করলে জানাজায় উপস্থিত হওয়া ।' (মুসলিম, হাদিস :৪০২৩, ৫৫৪৪)
এনটি