হজ ও ওমরার মিকাতগুলো কী কী?
হজ ও ওমরা পালনের নিয়তে যারা মক্কার উদ্দেশে গমন করেন, তাদের মিকাত (নির্ধারিত স্থান) অতিক্রম করার আগে ইহরামের কাপড় পরে নিতে হয়। ইহরাম না পরে মিকাত অতিক্রম করা তাদের জন্য জায়েজ নয়।
সমগ্র পৃথিবীর বিভিন্ন দিক থেকে আগত হজযাত্রীদের জন্য পাঁচটি নির্দিষ্ট স্থানকে শরিয়ত ‘মিকাত’ হিসেবে নির্ধারণ করেছে।
বিজ্ঞাপন
ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট স্থানকে শরিয়তের ভাষায় মিকাত বলা হয়। পাঁচটি স্থান থেকে ইহরাম বাঁধা যায়।
এক. জুল হুলায়ফা বা বীরে আলী: এটি মদিনাবাসী এবং মদিনা হয়ে মক্কায় প্রবেশকারীদের মিকাত।
দুই. ইয়ালামলাম: এটি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান অর্থাৎ উপমহাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে জেদ্দা হয়ে মক্কা প্রবেশকারীদের মিকাত।
তিন. আল-জুহফা: এটি সিরিয়া, মিসর ও সেদিক থেকে আগতদের মিকাত।
চার. কারনুল মানাজিল বা আসসায়েল আল-কাবির: এটি নাজদ থেকে আগতদের জন্য মিকাত।
পাঁচ. যাতুল ইরক: এটি ইরাক থেকে আগতদের জন্য মিকাত।
কেউ যদি মিকাতের বাইরে থেকে ইহরাম না বেঁধে মিকাতের ভেতর থেকে ইহরাম বাঁধে তবে তার দম ওয়াজিব হবে। আর যারা বিমানযোগে হজ ও ওমরা পালনে বাইতুল্লায় আসবেন, আকাশ পথের মধ্যেই যদি মিকাত পড়ে যায়, সেক্ষেত্রে তারা রওনার পূর্বেই দেশ থেকে ইহরাম বেঁধে রওয়ানা হবেন। কারণ হজ ও ওমরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে ইহরাম ব্যতীত মিকাত অতিক্রম করা হারাম। তবে শুধুমাত্র চাকুরী, ব্যবসা, চিকিৎসা, পড়াশুনা, আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে বেড়ানো বা অন্যকোনো কারণে মক্কা শরিফ প্রবেশ করলে ইহরাম বাঁধা জরুরি নয়।
প্রসঙ্গত, বর্ণিত পাঁচটি মিকাতের সীমানার ভেতরে যারা বসবাস করেন যেমন জেদ্দা, বাহরা, তায়েফ, শরাইয় ও মক্কার মধ্যবর্তী এলাকার বাসিন্দাগণ বা চাকরিরত বিদেশিরা- হজের জন্য তারা তাদের নিজেদের ঘর থেকেই ইহরাম বাধবেন। তাদেরকে মিকাতে যেতে হবে না। মক্কাবাসীগণ হজের ইহরাম হলে নিজ নিজ ঘর থেকে, আর উমরার ইহরাম হলে মসজিদে তানয়ীমে যাবে অথবা হারামের হুদুদের (সীমানার) বাইরে যে কোন স্থানে গিয়ে বাঁধবেন। মক্কায় চাকরিরত বিদেশিরাও তাই করবেন।