প্রতীকী ছবি

ব্যক্তির আমল দ্বারাই তার জান্নাত ও জাহান্নাম নির্ধারিত হয়। নিজ আমলগুণে ব্যক্তি যেমন জান্নাতি হতে পারে, তেমনি কর্মদোষে যে হতে পারে জাহান্নামি। আবার এক দল মানুষ এমন রয়েছে, যাদের ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়ে বলা হয় যাদের ওপর জাহান্নাম হারাম। এমন ব্যক্তিদের অন্যতম হলেন- অন্যের সঙ্গে কথা বলার সময় যিনি নম্রতা ও কোমল ভাষা ব্যবহার করেন।

হাদিসে নরম ও কোমল ভাষায় কথা বলার গুরুত্ব

এ বিষয়ে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন ব্যক্তি সম্পর্কে জানাব, যার ওপর জাহান্নাম হারাম? প্রত্যেক এমন ব্যক্তি যে মানুষের কাছাকাছি, বন্ধুসুলভ ও সহজ-সরল। ’(সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৪৮৮)

আরেক হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা নিজে কোমল, তিনি কোমলতাকে ভালোবাসেন। আর তিনি কোমলতার প্রতি যত অনুগ্রহ করেন, কঠোরতা এবং অন্য কোনো আচরণের প্রতি তত অনুগ্রহ করেন না।’ (মুসলিম ২৫৯৩, আবু দাউদ ৪৮০৭, ইবনে মাজাহ ৩৬৮৮)

হাদিস গ্রন্থ মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় এসেছে, একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বললেন-

‘কোমলতাকে নিজের জন্য বাধ্যতামূলক করে নাও এবং কঠোরতা ও নির্লজ্জতা থেকে নিজেকে রক্ষা করো। কেননা যে জিনিসের মধ্যে নম্রতা ও কোমলতা থাকে সে নম্রতা ও কোমলতাই তার সৌন্দর্য বৃদ্ধির কারণ হয়। আর যে জিনিসে কোমলতা থাকে না তা দোষণীয় হয়ে পড়ে।’ (মিশকাত ৫০৬৮)

পবিত্র কোরআনে নম্রতা অবলম্বনের নির্দেশ

পবিত্র কোরআনেও আল্লাহ তায়ালা নম্রতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহর রহমতে তুমি তাদের প্রতি কোমল হৃদয় হয়েছিলে; যদি তুমি রূঢ় ও কঠোরচিত্ত হতে, তবে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে পড়তো। সুতরাং তুমি তাদের ক্ষমা করো এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং কাজকর্মে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করো।’ (সুরা আলে ইমরান : আয়াত ১৫৯)

অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আর রহমানের বান্দা তারাই যারা পৃথিবীতে কোমল-নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং অজ্ঞ লোকেরা যখন তাদেরকে সম্বোধন করে তখন তারা বলে ‘সালাম’।’ (সুরা ফোরকান : আয়াত ৬৩)

এনটি