শায়ান তুরাস, ছবি : ফেসবুক

আমি যখন বাসায় নামাজ পড়ি তখন আমার ছোট ছেলে (বয়স আড়াই বছর) আমার কোলে এসে বসে। শরীর জড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সিজদায় গেলে পিঠে ওঠার চেষ্টা করে।

কিন্তু তার শরীর ও কাপড়ে প্রায়ই প্রস্রাব ইত্যাদি নাপাকি লেগে থাকে। এখন আমার জানার বিষয় হচ্ছে, ওই ক্ষেত্রে আমার নামাজ নষ্ট হবে কি না? জানালে উপকৃত হব।

এই প্রশ্নের উত্তরে আলেমরা বলেন, এক্ষেত্রে বাচ্চার শরীর বা কাপড়ের নাপাকি যদি আপনার শরীর বা কাপড়ে না লেগে থাকে তা হলে আপনার নামাজ নষ্ট হয়নি। কেননা যে বাচ্চা কোল ধরে রাখতে পারে তার শরীরে নাপাকি থাকলেও এ কারণে নামাজি ব্যক্তির নামাজ নষ্ট হয় না।

কিন্তু বাচ্চা থেকে যদি নামাজি ব্যক্তির শরীরে বা কাপড়ে নাপাকি লেগে যায় এবং এর পরিমাণ এক দিরহামের (অর্থাৎ হাতের তালুর গভীরতা সমপরিমাণের) বেশি হয় তা হলে তার নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/৭৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ২/৩৫২; শরহুল মুনইয়া, পৃ. ১৯৬; জামিউ আহকামিস সিগার : ১/৩২; আলবাহরুর রায়েক : ১/২৬৭)

আলেমদের মতে, শিশু সন্তান যদি ছেলে হয় এবং শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধই তার খাদ্য হয়, তবে তার প্রস্রাব হালকা নাপাক। এটাকে পবিত্র করার জন্য পানির ছিটাই যথেষ্ট।

অর্থাৎ হাতে পানি নিয়ে কাপড়ের ওপর এমনভাবে ছিটানো যাতে তা সম্পূর্ণ প্রস্রাবের স্থানকে শামিল করে। তবে তা ঘষতে হবে না এবং তাতে এত বেশি পরিমাণ পানিও ঢালতে হবে না যে, চাপ প্রয়োগ করে কাপড় থেকে পানি বের করতে হয়।

আর শিশু সন্তান যদি কন্যা হয় তবে, যে কাপড়ের মধ্যে প্রস্রাব করবে, তা ধুয়ে নিতে হবে। হাদিসের ঘোষণাও এমন।

মনে রাখতে হবে ছেলে শিশু সন্তান যদি শক্ত খাবার খেতে শুরু করে, তবে অবশ্যই তার প্রস্রাব করা কাপড় ধুয়ে নিতে হবে। নতুবা কাপড় পবিত্র হবে না।