প্রতীকী ছবি

রমজান তাকওয়া অর্জন ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মাস। পুরো মাসে একজন মুমিন কলহ, বিবাদ, মিথ্যা কথা ও খারাপ কাজ, লোক দেখানো আমল থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও কাজ পরিহার করতে পারলো না আল্লাহর নিকট তার আহার পানীয় পরিহার করার দরকার নেই (বুখারী)।

রোজার মাসে মানুষ বেশি বেশি দান-সদকা করে থাকে। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রখ্যাত সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) মানুষের মধ্যে সবচেয়ে দানশীল ছিলেন।

আর রমজান মাসে যখন জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি আরো বেশি দান করতেন। জিবরাইল (আ.) রমজানের প্রতি রাতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। তখন আল্লাহর রাসুল (সা.) তাঁকে কোরআন পাঠ করে শোনাতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে যখন জিবরাইল (আ.) দেখা করতেন, তখন তিনি মানুষের কল্যাণে প্রবাহমান বাতাসের চেয়েও বেশি দান করতেন। (বুখারি, হাদিস : ৩২২০) 

রমজানে পুরো চার সপ্তাহ আমলের প্রতি যত্নশীল হওয়ার কারণে মানুষের ওপর এর এক ধরনের প্রভাব পড়ে তাই সবার উচিত রমজানের পরেও তা যথাযথ বাস্তবায়নের চেষ্টা করা। 

রমজানের পরও বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা উচিত। কারণ, রমজানের অন্যতম উদ্দেশ্য আল্লাহর পক্ষ থেকে হেদায়েত লাভ করা। আর কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে তা লাভ করা সম্ভব।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই এ কোরআন হেদায়েত করে সে পথের দিকে যা আকওয়াম তথা সুদৃঢ় এবং সৎকর্মপরায়ণ মুমিনদের সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার।’ (সুরা বনি ইসরাঈল: আয়াত ৯)

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এ আয়াতের তাফসীরে বলেন, এ কোরআন তাদের জন্য হেদায়েত যারা হেদায়েত চেনার পর তা গ্রহণ না করার শাস্তির ভয়ে সদা কম্পমান। আর তারা তাঁর কাছ থেকে যা এসেছে তার সত্যায়নের মাধ্যমে রহমতের আশাবাদী। (তাফসিরে ইবনে কাসির ও আত-তাফসিরুস সহীহ)

মূলত রমজানের পরেও কোরআনকে আঁকড়ে ধরলে তা মানুষকে আলোকিত জীবনে গঠনের পথ দেখাবে। তাই পুরো বছর কোরআনকে ধারণের চেষ্টা করতে হবে সবাইকে।