মসজিদুল হারাম ও নববীতে লাখো মুসল্লির জুমা আদায়
সৌদি আরবের মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে রমজানের চতুর্থ শুক্রবারে জুমা নামাজ আদায় করেছেন লাখ লাখ মানুষ। এ দিন জুমার ইমামতি করেন ড. শায়খ আব্দুর রহমান আস-সুদাইস। খুতবায় তিনি সদকাতুল ফিতর ও ঈদুল ফিতরের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
সৌদি আরবের সরকারী বার্তা সংস্থা এসপিএ’র খবরে বলা হয়েছে, এ দিন জুমার নামাজে অংশ নিতে সকাল থেকেই মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। মসজিদুল হারাম প্রাঙ্গণ, ভেতর ও বাইরের উঠান, বিশেষ করে তৃতীয় বর্ধিত ভবন, মুসল্লিতে পরিপূর্ণ ছিল।
বিজ্ঞাপন
রমজানের চতুর্থ জুমাকে কেন্দ্র করে ওমরাপালনকারী ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দা, প্রবাসীরাও প্রচুর পরিমাণে অংশ নিয়েছেন। এই জুমাকে রমজানের শেষ জুমা মনে করেও অনেকে এতে অংশ নিয়েছেন।
আশেপাশের হোটেলের করিডোর এবং হারাম শরীফে যাওয়ার সমস্ত রাস্তায় নামাজের জন্য কাতারে দাঁড়িয়েছিলেন মুসল্লিরা। মুসল্লিদের সুবিধার্থে তাৎক্ষণিক ১৫টি ভাষায় মসজিদুল হারামের খুতবার অনুবাদ করা হয়।
হারামাইন কর্তৃপক্ষ মসজিদুল হারামের গেট ও করিডোরে মুসল্লিদের আগমন ও প্রস্থানের বিষয়টি সহজ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন।
বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ইলেকট্রনিক হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাদের জন্য নামাজের বিশেষ জায়গাও সংরক্ষিত ছিল।
মুসল্লিদের স্বাগত জানাতে চার হাজার কর্মী নিয়োগ দিয়েছে হারামাইন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১১টি স্মার্ট রোবটও ছিলো।
মসজিদে নববীতেও রমজানের চতুর্থ জুমার নামাজ পড়তে মুসল্লিদের ঢল নেমেছিলো। সামনের কাতারে জায়গা পেতে এখানেও ফজরের পর আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা।
মসজিদে নববীতে জুমার খুতবা প্রদান করেন ইমাম ও খতিব ড. শায়খ হুসাইন আল-শায়খ। খুতবায় রমজানের শেষ দশ রাতের ফজিলত ও সদকাতুল ফিতর নিয়ে আলোচনা করা হয়।
মসজিদে নববীর আঙ্গিনায় মুসল্লিদের সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা করেছে বিশালাকৃতির স্প্রে ফ্যানগুলো, যা তীব্র গরমেও আবহাওয়াকে মনোরম করে তুলেছিল।