প্রতীকী ছবি

শবে কদর বা লাইলাতুল কদর। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি কদর (মর্যাদাপূর্ণ) রজনীতে। আপনি কি জানেন মহিমাময় কদর রজনী কী? মহিমান্বিত কদর রজনী হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ হজরত জিবরাইল (আ.) সমভিব্যাহারে অবতরণ করেন; তঁাদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ ও অনুমতিক্রমে, সব বিষয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে। এই শান্তির ধারা চলতে থাকে উষার উদয় পর্যন্ত।’ (সুরা-৯৭ কদর, আয়াত: ১-৫)।

আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে কদর তালাশ করতে বলেছেন। হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান কর।’ (সহীহ বুখারী, হাদীস, ২০১৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস, ১১৬৯)

আবু বাকরা রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে একবার লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো। তিনি বললেন, আমি লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশ দিন ছাড়া অন্য কোনো রাতে অনুসন্ধান করব না।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, তোমরা এ রাতটিকে রমজানের নয় দিন বাকী থাকতে বা সাতদিন বাকী থাকতে বা পাঁচ দিন বাকী থাকতে বা তিন দিন বাকী থাকতে বা এর শেষ রাতে অনুসন্ধান কর।

বর্ণনাকারী বলেন, আবু বাকরা রাদিয়াল্লাহু আনহু রামজানের বিশ দিন পর্যন্ত অন্যান্য সুন্নতের মতোই সালাত আদায় করতেন। কিন্তু শেষ দশ দিনের ক্ষেত্রে খুবই প্রচেষ্টা চালাতেন। (তিরমিজি, ৭৯৪, ইবসে হিব্বান, ৩৬৮৬)

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে আরেক হাদিসে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন এবং বলতেন, তোমরা শেষ দশকে লাইলাতুল কদর তালাশ কর।’ (সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬৫)

সালিম রহ. তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি (পিতা) বলেন, ‘এক ব্যক্তি (রমজানের) ২৭তম রাতে লাইলাতুল কদর দেখতে পেল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমাকেও তোমাদের মতো স্বপ্ন দেখানো হয়েছে যে, তা রমজানের শেষ দশকে নিহিত আছে। অতএব, এর বেজোড় রাতগুলোতে তা অনুসন্ধ্যান কর।’ (সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬৫)