ইতিকাফ কত প্রকার ও কী কী?
রমজানের শেষ দশকের গুরুত্বপূর্ণ আমল ইতিকাফ। ইতিকাফের ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি সওয়াবের উদ্দেশ্যে রমজান মাসের শেষ দশকে ইতিকাফ করবে তার নামে দুটি কবুল হজ এবং ওমরাহর সওয়াব লেখা হবে’ (বায়হাকি)।
অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি খালেস নিয়তে ইতিকাফ করবে তার পূর্ববর্তী সব সগিরা গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে’ (দায়লামি)। হুজুর (সা.) নিজেও সর্বদা ইতিকাফ করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামদেরও ইতিকাফের প্রতি উৎসাহী করতেন। ইতিকাফকারীদের জন্য রয়েছে বহু সওয়াবের সুসংবাদ।
বিজ্ঞাপন
সাধারণত রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফের প্রচলন থাকলেও সারা বছর ইতিকাফ করা যায়। ইসলামী বিধানে ইতিকাফের তিনটি প্রকার রয়েছে। তাহলো-
১. ওয়াজিব : ওয়াজিব ইতিকাফ হলো, মানতের ইতিকাফ; অর্থাৎ কেউ যদি মানত করে, ‘আমার কাজটি সুচারুরূপে সম্পন্ন হলে আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ার্থে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে ইতিকাফ করব।’ কাজটি সুচারুরূপে সম্পন্ন হয়ে গেলে অবশ্যই ইতিকাফ করতে হবে। এই ইতিকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত। রোজা ছাড়া এই ইতিকাফ আদায় হবে না।
২. সুন্নতে মুয়াক্কাদা : সুন্নতে মুয়াক্কাদা ইতিকাফ হলো, মাহে রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ। এটি মহল্লাবাসীর পক্ষ থেকে কমপক্ষে একজন মানুষ হলেও আদায় করতে হবে। নতুবা সবাই গুনাহগার হবে।
৩. মুস্তাহাব : মুস্তাহাব ইতিকাফ হলো, কিছুক্ষণের জন্য ইতিকাফের নিয়ত করে মসজিদে অবস্থান করা। এটা অত্যন্ত বরকতময় ও সওয়াবের কাজ। স্বাভাবিকভাবে সবাই মসজিদে প্রবেশ করার সময় ইতিকাফের নিয়ত করলে ইতিকাফও আদায় হবে, সওয়াব পাওয়া যাবে। (বেহেশতি জেওর : ২৭০)