সাহরিতে তাহাজ্জুদ পড়া নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
গুনাহ মাফ ও তাকওয়া অর্জনের মাস রমজানে তাহাজ্জুদ নামাজের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। রমজানে অন্যান্য নফল আামলের পাশাপাশি তাহাজ্জুদ নামাজের প্রতি গুরুত্ব দিতেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রমজানের শেষ দশকে রাসুলুল্লাহ (সা.) রাত জেগে ইবাদত করতেন, তার পরিবারকে ডেকে দিতেন এবং লুঙ্গি শক্ত করে বেঁধে নিতেন। (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)
বিজ্ঞাপন
বর্তমান সময়ে রমজানে অবহেলিত এই আমলের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।
নিজের ফেরিভাই ফেসবুক আইডিতে তিনি বলেন আল্লাহর নৈকট্যলাভ ও দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ সময় রাতের শেষ প্রহর। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, সারা বছর রাতের শেষ প্রহরে জায়নামাজে আল্লাহর সামনে দাঁড়াবার সৌভাগ্য আমাদের খুব কমই হয়।
তিনি আরও বলেন, রমজান উপলক্ষ্যে শেষ রাতে আমাদের উঠতেই হয়। সেই সুযোগে আমরা যদি সাহরির আগে-পরে দু-চার রাকাত তাহাজ্জুদ পড়ি, নির্জনে দোয়া ও মুনাজাতে মশগুল হই, তবে এই সামান্য সময়ের রাত্রিজাগরণ ও মিনতি আমাদের রমজানকে সার্থক করে দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, রমাদানের দুটি দশক শেষ হতে চলল। আমরা নিজেদের কাছে প্রশ্ন রাখি—এই রমাদানে কয়বার আল্লাহর সামনে তাহাজ্জুদে দাঁড়াবার সৌভাগ্য হয়েছে।