১৮ বছর ধরে সৌদি আরবের মসজিদুল হারামে আগত মুসল্লি ও ইবাদতকারীদের মাঝে জমজমের পানি কাজে নিয়োজিত বিদেশী নাগরিক কমার আলী খান। তিনি প্রায় দুই যুগের কাছাকাছি মসজিদুল হারামের ‘সাকিয়ায়ে জমজম’ সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন।

দীর্ঘ সময় এই কাজের সঙ্গে জড়িত কমার আলী খান বলেন, রমজানে ইফতারের সময় ইবাদতকারীদের জমজমের পানি বিতরণে সহযোগিতা করতে পারা অনেক বড় সৌভাগ্যের বিষয়। এই সৌভাগ্য প্রকাশের ভাষা নেই আমার কাছে।

সৌদি সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় কমার আলী খান বলেন, রমজানে ইফতারির সময় রোজাদারদের জন্য জমজমের পানি বিতরণ করতে পেরে অন্তরে অন্য রকম প্রশান্তি লাভ করি। ইবাদতকারীদের জমজমের পানি বিতরণের কাজ করার সময় এই প্রত্যাশা রাখি যে, পানকারীরা মন থেকে আমাদের জন্য দোয়া করেন।

মসজিদুল হারামে আগতদের জমজমের পানি বিতরণের কাজে নিয়োজিত ‘সাকিয়ায়ে জমজম’ সংস্থার কর্মচারীর সংখ্যা ৬৫০ জন।

প্রসঙ্গত, জমজমের কূপ থেকে পানি তোলার পর তা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ফিল্টারিং করা হয়। জমজম কূপ থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৩৬০ ঘনমিটার ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি বড় পাম্পের মাধ্যমে পানি তোলা হয়।

প্রাথমিক পর্যায়ে কূপ থেকে পানি উত্তোলনের পর, শাহ আবদুল্লাহ ফিল্টারেশন প্ল্যান্টে স্থানান্তর করা হয়, সেখানে একটি বড় ট্যাঙ্কে পানি সংরক্ষণ করা হয়, এরপর ইবাদত পালনকারীদের মাঝে সরবরাহ করা হয়।

সূত্র : আল-আরাবিয়া