প্রতীকী ছবি

মাগরিবের নামাজ আদায় করছিলাম গতকাল। কিন্তু হঠাৎ নামাজের মনোযোগ অন্য দিকে চলে যায়। আর আমি কল্পনা থেকে ভুলে মুখে কিছু কথা বলে ফেলি। এখন আমার জানার বিষয় হলো- আমার নামাজ কি শুদ্ধ হয়েছে? না হলে আমাকে সেই নামাজ আবার পড়তে হবে? একজন এমনটা প্রশ্ন করেছেন।

এর উত্তর হলো- নামাজে থেকে যেকোনো ধরনের কথা বলার কারণে নামাজ ফাসেদ হয়ে যায়। ইচ্ছাকৃত হোক কিংবা ভুলে হোক— উভয় অবস্থায় একই হুকুম। সুতরাং উক্ত নামাজ কাজা করে নিতে হবে।

জায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) বলেন, ‘আমরা নামাজে কথা বলতাম। নামাজি ব্যক্তি তার পাশের ব্যক্তির সঙ্গে নামাজে কথা বলত। অতঃপর যখন ওয়া কু-মু-লিল্লাহি ক্বানিতিন... এই আয়াত অবতীর্ণ হলো— তখন আমাদের চুপ থাকার আদেশ দেওয়া হয় এবং কথা বলতে নিষেধ করা হয়। (মুসলিম, হাদিস : ৫৩৯; সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৫৩৪)

মুআবিয়া ইবনে হাকাম আসসুলামি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নামাজে কোনো ধরনের কথাবার্তা বলার সুযোগ নেই, এ তো হলো তাসবিহ, তাকবির ও কোরআনের তিলাওয়াত।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫৩৭)

ইবনে জুরাইজ (রহ.) বলেন, আমি আতা (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আমি যদি নামাজে ভুলে কথা বলে— ফেলি (তাহলে এর কী হুকুম হবে?) তিনি বললেন, মুখে উচ্চারণ করে? আমি বললাম, হ্যাঁ, তিনি বললেন, তাতে তোমার নামাজ ফাসেদ হয়ে গেছে। নতুন করে আবার পড়তে হবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৩৫৬৬)

ইবরাহিম নাখায়ি, কাতাদা ও হাম্মাদ (রহ.) প্রমুখ তাবেয়ি থেকেও অনুরূপ বক্তব্য বর্ণিত আছে। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৩৫৭১, ৩৫৭৩)

তথ্যসূত্র : আলমাবসূত, সারাখসি : ১/১৭০; বাদায়েউস সানায়ে ১/৫৩৭; মুখতারাতুন নাওয়াজিল : ১/৩১৯; আলমুহিতুল বুরহানি : ২/১৪৬; ফাতাওয়া খানিয়া : ১/১৩৬; ফাতহুল কাদির : ১/৩৪৪; আল-বাহরুর রায়েক : ২/২

প্রশ্নটি করেছেন : আলী হোসাইন, সদর, খুলনা

ঢাকা পোস্টের ইসলাম পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্ন ও বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ পাঠাতে মেইল করুন: dhakapostislam@gmail.com