জান্নাত প্রত্যেক মুমিনের একান্ত কামনা-বাসনার বস্তু। দুনিয়ার জীবন শেষে কেয়ামতের বিচার দিবসে যারা ডান হাতে আমলনামা পাবে এবং জান্নাত লাভ করবে তারাই প্রকৃত সফল। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, যার আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে, শিগগিরই তার থেকে সহজ হিসাব নেওয়া হবে।’ -(সুরা ইনশিকাক: ৭-৮)

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কেয়ামতের দিন যে কারও হিসাব নেওয়া হবে; সে ধ্বংস হবে। আমি (আয়েশা) বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ তায়ালা কি বলেননি, ‘আর যার ডান হাতে আমলনামা দেওয়া হবে তার হিসাব-নিকাশ সহজ হবে।’ রাসুল (সা.) বলেন, এ তো শুধু (আমলনামা) পেশ মাত্র; কারণ কেয়ামতের দিন যে কারও হিসাব পর্যবেক্ষণ করা হবে সে নির্ঘাত ধ্বংস হবে।’ (মুসলিম : ২৮৭৬)

জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে নেক আমলকারী ও গোনাহমুক্ত ঈমানদারের জন্য। জান্নাতে তাদের জন্য থাকবে অসংখ্য নেয়ামত। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘অবশ্য মুত্তাকিদের জন্য সাফল্যের একটি স্থান রয়েছে। বাগ-বাগিচা, আঙুর, নবযৌবনা সমবয়সী তরুণীবৃন্দ এবং উচ্ছ্বসিত পানপাত্র। সেখানে তারা শুনবে না কোনো বাজে ও মিথ্যা কথা। প্রতিদান ও যথেষ্ট পুরস্কার তোমাদের রবের পক্ষ থেকে। ’ -(সূরা আন নাবা: ৩১-৩৬)

জান্নাতের প্রবেশের পর মানুষের কোনও আফসোস থাকবে না। আল্লাহ মানুষকে সব দিক থেকে তৃপ্ত করবেন এবং দুনিয়াতে বিশেষ একটি আমলে অভ্যস্তদের আল্লাহ তায়ালা নিজেই মেহমানদারির আয়োজন করবেন। হাদিসের বর্ণনায় তা প্রমাণিত।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা মসজিদে যায়, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাতে মেহমানদারির ব্যবস্থা করেন। সকালে অথবা সন্ধ্যায় যতবার সে মসজিদে যায়, ততবারই আল্লাহ তায়ালা তার জন্য মেহমানদারির ব্যবস্থা করেন।

(সহিহ বুখারি, ৬৩১, সহিহ মুসলিম, ১৫৫৬, সহিহ ইবনে খুজাইমা, ১৪৯৬, সহিহ ইবনে হিব্বান, ২০৩৭)

তাই প্রত্যেক মুমিন, মুসলমানের উচিত নিয়মমিত মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করা এবং আল্লাহর ঘরের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা।

এনটি