লজ্জা যেভাবে পাপ থেকে বিরত রাখে
লজ্জা একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ। এটি মানুষের স্বভাবগত গুণ। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও অত্যধিক লাজুক ছিলেন। হাদিসে লজ্জাকে ঈমানের অঙ্গ বলা হয়েছে। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘লজ্জা ঈমানের অংশ।’-(বুখারী ও মুসলিম)
মানুষ চাইলে এই গুণের বাস্তব প্রয়োগ করে তাকওয়া–পরহেযগারীর উচ্চ শিখরে পৌঁছতে পারে। কারণ, লজ্জাবোধকারী ব্যক্তি লজ্জার কারণে গুনাহ থেকে বিরত থাকে এবং দায়িত্বের প্রতি যত্নবান হয়। যখন মানুষের আত্মা ঈমানে পরিপূর্ণ হয় তখন তা তাকে গুনাহ থেকে বিরত রাখে এবং ভালো কর্মে উদ্বুদ্ধ করে।
বিজ্ঞাপন
হাদিসে ঈমানের মধ্যবর্তী শাখাগুলোর মধ্য থেকে কেবল লজ্জার কথা উল্লেখ করার কারণ অন্য এক হাদিসে দেওয়া হয়েছে।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মানুষ পূর্ববর্তী নবুওয়াতের যে বাণী লাভ করেছে (অর্থাৎ পূর্ববর্তী নবীদের যে শিক্ষা এ পর্যন্ত পৌঁছেছে) তা হচ্ছে– তুমি যদি লজ্জাই না কর তবে যা চাও করতে পার।’ -(বুখারি, হাদিস, ৬১২০)
অর্থাৎ যে ব্যক্তির লজ্জা নেই সে হেন কাজ নেই যা করতে পারে না। যেকোনও অন্যায়–অপরাধ লজ্জাহীন মানুষ অবলীলায় করতে পারে। কিন্তু যে ব্যক্তির লজ্জা আছে, সে সহজে অন্যায়–অপরাধে লিপ্ত হতে পারে না। লজ্জা তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যখনই কোনও মন্দ কাজ করার ইচ্ছা জাগে, তখন লোকে দেখলে কী বলবে এই অনুভূতি তাকে সে কাজ করতে দেয় না। সে মনের ইচ্ছা মনেই দমন করে ফেলে।
মানুষকে লজ্জা করার কারণেই যখন মানুষ এভাবে পাপ কাজ থেকে দূরে থাকে, তখন যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালাকে লজ্জা করবে সে তো কোনভাবেই পাপ কাজের কাছে যাবে না।
এক হাদিসে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত, একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক আনসারীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তার ভাইকে তখন (অধিক) লজ্জা ত্যাগের জন্য নসীহত করছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ওকে ছেড়ে দাও। কারণ লজ্জা ঈমানের অঙ্গ। -(বুখারি, ২৩)
এনটি