রমজানের আগের সময়কে মূল্যায়ন করতে বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
শাবান মাসকে বলা হয় রমজানের প্রস্তুতিমূলক মাস। এ মাস থেকেই নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবিরা রমজানের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করতেন।রাসুল (সা.) শাবান মাসে সবচেয়ে বেশি নফল রোজা রাখতেন। অন্য কোনো মাসে এ পরিমাণ রোজা রাখতেন না।
উম্মে সালমা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে শাবান ও রমজান মাস ছাড়া অন্য কোনো দুই মাস একাধারে রোজা রাখতে দেখিনি। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৩৬)
বিজ্ঞাপন
রাসুল (সা.) রজব ও শাবান মাসব্যাপী বেশি বেশি বরকত হাসিলের দোয়া করতেন। রমজান মাসে ইবাদত করার সুযোগ ভিক্ষা চাইতেন।
এ মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়েখ আহমাদুল্লাহ। নিজের ফেসবুক পেইজে তিনি বলেন, ‘রমাদান এলেই সব করে ফেলব, এমন আশায় বসে থাকা ভুল। যারা এই আশায় বসে থাকে, রমাদানে তারা তেমন কিছুই করতে পারে না। ‘
তিনি বলেন, কারণ, ‘দাঁড়ানো থেকে হঠাৎ দৌড় দেয়া যায় না। আগে হাঁটা শুরু করতে হয়, তারপর আপনাতেই দৌড়নোর শক্তি এসে যায়। সুতরাং রমাদানে যা করতে চান, তা শুরু করে দিন এখনই।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিজ্ঞতার আলোকে বোঝা যায়—সারা বছর যারা ইবাদতের ভেতর থাকে, রমাদানে ইবাদত করার সুযোগ ও সৌভাগ্য তাদেরই বেশি হয়। শূন্য থেকে একলাফে পূর্ণ হওয়া যায় না। পূর্ণতা লাভের জন্য চাই ধারাবাহিকতা।’
এনটি