নারী-পুরুষের দায়েমি ফরজ ও সুন্নতগুলো জেনে নিন
দায়েমি ফরজ অর্থ: এমন ফরজ যা প্রতিনিয়ত, প্রতিদিন এবং সার্বক্ষণিক ভাবে পালন করা আবশ্যক। নারী-পুরুষের প্রকৃতি ও সৃষ্টিগত কিছু পার্থক্য ছাড়া উভয়ের উপর অবশ্য পালনীয় ফরজ বিধানগুলো প্রায় একই রকম।
নিম্নে কুরআন-হাদিসের নির্যাস থেকে উভয়ের জন্য আলাদা আলাদাভাবে সার্বক্ষণিক পালনীয় ফরজ ও সুন্নত কাজগুলো তুলে ধরা হল-
বিজ্ঞাপন
একজন পুরুষের দায়েমি ফরজ ৩ টি:
১। সবসময় ঈমানী হালতে থাকা।
২। সতর ঢেকে রাখা।
৩। মা-বোনকে পর্দায় রাখা।
একজন মহিলার জন্য দায়েমি ফরজ ৫ টি:
১। সবসময় ঈমানী হালতে থাকা।
২। সতর ঢেকে রাখা।
৩। পর্দা করা।
৪। ছোট আওয়াজে কথা বলা।
৫। স্বামীর সম্পদের হেফাজত করা।
পুরুষের দায়েমি সুন্নত ১০টি:
১। শুধু গোসল এবং ঘুমব্যতীত ২৪ ঘন্টা মাথায় টুপি রাখা।
২। চুল সুন্নত তরিকায় কাঁটা, (চুল কাটার সুন্নত তরিকা হলো তিনটি- ক. সমস্ত চুল ছেঁটে ফেলা। খ. পেছনে বাবরি রাখা। গ. মাথার চারপাশ থেকে সমান মাপে চুল কাটা।
৩। মোছ খাটো করা।
৪। মেসওয়াক করা।
৫। দাড়ি লম্বা রাখা।
৬। সুন্নতি পোষাক পড়া।
৭। প্রতিসপ্তাহে কম পক্ষে একবার নখ কাটা।
৮। গুপ্তস্থানের লোম পরিস্কার করা। (৪১ দিনের মধ্যে কমপক্ষে একবার কাঁটতেই হবে)
৯। পায়খানার রাস্তায় ঢিলা (টিস্যু) এবং
১০। প্রশ্রাবের রাস্তায় কুলুপ (টিস্যু) ব্যবহার করা।
একজন মহিলার জন্য দায়েমি সুন্নত ৭ টি:
১। মাথার চুল আঁছড়িয়ে সুন্দরভাবে পরিপাটি রাখা।
২। মেসওয়াক করা।
৩। সুন্নতি পোষাক পরিধান করা।
৪। সপ্তাহে কমপক্ষে একবার নখ কাঁটা।
৫। গুপ্তস্থানের লোম পরিষ্কার করা। (৪১ দিনের মধ্যে কমপক্ষে একবার কাঁটতেই হবে)
৬। পায়খানার রাস্তায় ঢিলা (টিস্যু)ব্যবহার করা।
৭। মাসিক চলাকালীন সময় পট্টি ব্যবহার করা। (সূত্র : রাহে নাজাত)
এনটি