প্রতীকী ছবি

স্বামী-স্ত্রী একে অপরের আজীবন সঙ্গী। জীবনের দীর্ঘ পথ চলতে গিয়ে মান-অভিমান, ভুল-ভ্রান্তি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এই স্বাভাবিক বিষয়টিই অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে যখন তা দাম্পত্য কলহে রূপ নেয়।

পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে দাম্পত্য কলহ-বিবাদের প্রভাব অত্যন্ত ক্ষতিকর। সমাজের অনেক পরিবারেই কলহের মতো অস্বাভাবিক বিষয়টি স্বাভাবিক হয়ে গেছে। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে যেসব বিষয়ে বিবাদ দেখা দেয় সেজন্য মূলত দায়ী নিজের অধিকার সম্পর্কে ষোলআনা সচেতনতা আর অন্যের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে অবহেলা। প্রত্যেকে যদি নিজ দায়িত্ব আদায়ে সচেতন থাকে, তবে দাম্পত্য কলহের কোনো সুযোগ থাকে না।

এ কারণেই ইসলাম একের ওপর অন্যের অধিকার যেমন সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছে তেমনি সেসব অধিকার আদায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে আদেশ করেছে। ইসলামী বিধানে স্ত্রীর উপর স্বামীর যেসব অধিকার রয়েছে তার প্রধান কয়েকটি হল-

১. স্বামীর অনুগত থাকা এবং খেদমত করা।

২. স্বামীর সাধ্যের বাইরে কোনো আবদার না করা।

৩. স্বামীর অনুমতি ব্যতীত কাউকে ঘরে প্রবেশ করতে না দেওয়া এবং নিজে ঘর থেকে বের না হওয়া

৪. স্বামীর সম্পদ বিশ্বস্ততার সাথে সংরক্ষণ করা। এর মাঝে স্ত্রীর নিজের সতীত্বকে হেফাজত করাও অন্তর্ভুক্ত।

৫. শরীয়ত-সম্মত ওযর না হলে স্বামীর আহবানে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেওয়া।

অপর দিকে স্বামীর ওপর স্ত্রীর যেসব অধিকার রয়েছে তার কয়েকটি হচ্ছে-

১.মোহর আদায় করা

২. হালাল মাল দ্বারা স্ত্রীর ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করা।

৩. বসবাসের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা।

৪. সম্ভব হলে কাজের লোকের ব্যবস্থা করা।

৫. কর্তৃত্বসুলভ ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীর প্রতি জুলুম না করা। স্ত্রীর ভুল-ত্রুটিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা। তবে প্রয়োজনবোধে সতর্ক করা।

৬. একাধিক স্ত্রী থাকলে ভরণ-পোষণ, রাতযাপন প্রভৃতি বিষয়ে সকলের মাঝে সমতা রক্ষা করা।

এনটি