প্রতীকী ছবি

ইসলামের আভিধানিক অর্থ আনুগত্য, আত্মসমর্পণ, নিঃশর্ত হুকুম পালন। ইসলামের পারিভাষিক অর্থ হলো ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত আনুগত্য ও আত্মসমর্পণের বিধান। ইসলাম মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত জীবন যাপন পদ্ধতি। ইসলাম মানুষের সামগ্রিক জীবনের শান্তি, কল্যাণ ও সাফল্যের পথ।

মহান আল্লাহতায়ালা মানবজাতির দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি, কামিয়াবি ও সফলতা রেখেছেন একমাত্র ইসলামে দ্বীনের মধ্যে। মৃত্যুর পর প্রতিটি মানুষকে তিনটি প্রশ্ন করা হবে। তোমার রব কে, তোমার নবী কে এবং তোমার দ্বীন কী? 

ঈমানদাররা শুধুই কবরে এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। আমার রব আল্লাহ, নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং দ্বীন হলো ইসলাম। এখানে দ্বীন বলতে, আল্লাহর নির্দেশিত জীবনব্যবস্থা বা ইসলাম ধর্ম। আল্লাহর হুকুম মেনে চলা এবং নবী করিম (সা.)কে অনুসরণ করার মাধ্যমেই আল্লাহতায়ালা মানুষের দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা রেখেছেন।

ইসলামকেই আল্লাহ তায়ালা মানব জাতির জন্য একমাত্র মনোনীত ধর্ম হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বিন মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৩)

কোরআনে ঘোষিত পূর্ণতা সব অপূর্ণতাকে নাকচ করে। সুতরাং মুমিন মাত্রই বিশ্বাস করে যে ইসলাম তার আকিদা, ইবাদত, মুআমালাতসহ সব বিষয়ে পরিপূর্ণ। আর ইসলাম যেহেতু পরিপূর্ণ তাই এখানে নতুন উদ্ভাবিত কোনো বিষয় (বিদআত)-এর প্রয়োজন নেই। কেউ নতুন কিছু উদ্ভাবন করলেও তা গ্রহণযোগ্য হবে না। 

রাসুলুল্লাহ (সা.) স্পষ্ট হুঁশিয়ারি হলো, ‘তোমরা (ধর্মে) প্রতিটি নতুন আবিষ্কার সম্পর্কে সাবধান! কেননা প্রতিটি নবাবিষ্কার হলো বিদআত এবং প্রতিটি বিদআত হলো ভ্রষ্টতা।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪৬০৭)। 

এ ছাড়া শ্রেষ্ঠত্ব ও পূর্ণতার বিশ্বাসের সঙ্গে ইসলামের চিরন্তনতা, তার স্থায়িত্বের যুক্তি ও মহান আল্লাহ কর্তৃক তা সংরক্ষণের অঙ্গীকার জড়িত। কেননা অপূর্ণ কোনো শরিয়তকে কেয়ামত পর্যন্ত আগত মানুষের জীবনবিধান মনোনীত করা মহান আল্লাহর মর্যাদার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। ইসলামী শরিয়তের প্রাণসত্তা পবিত্র কোরআন সম্পর্কে আল্লাহ তাআলার অঙ্গীকার হলো—‘আমিই কোরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আবশ্য আমিই তার সংরক্ষক।’ (সুরা হিজর, আয়াত : ৯)

এনটি