ইসলামে ব্যবসার গুরুত্ব ও সৎ ব্যবসায়ীর পুরস্কার
ইসলাম মানুষকে সৎ পথে অর্থোপার্জনে উৎসাহিত করেছে। নিষেধ করেছে অসৎ পথে রোজগার। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা, জুমুআর দিনে যখন নামাজের জন্য ডাকা হয়, তখন আল্লাহর স্মরণের দিকে শিগগিরই ধাবিত হও, ক্রয়-বিক্রয় পরিত্যাগ কর, এটাই তোমাদের জন্য অতি উত্তম, যদি তোমরা জানতে! অতঃপর যখন নামাজ সমাপ্ত হয়, তখন জমিনে ছড়িয়ে পড়, আর আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান কর এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করতে থাক, যাতে তোমরা সাফল্য লাভ করতে পার।’ (সুরা: জুমুআ: ৯-১০)
মানুষের উর্পাজনের মাধ্যম হিসেবে পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহতে ব্যবসায়-বাণিজ্যের গুরুত্বের কথা বর্ণনা করা হয়েছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে উৎসাহিত করা হয়েছে। এ উদ্দেশ্যে বিদেশ সফরে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা দেখতে পাও, নদী-সমুদ্রে নৌকা-জাহাজ পানির বক্ষ দীর্ণ করে চলাচল করছে, যেন তোমরা তার অনুগ্রহ (রিজিক) সন্ধান করতে পারো।’ (সুরা আল ফাতির, আয়াত : ১২)
আল্লাহ আরো বলেন, ‘এমন বহু লোক রয়েছে, ব্যবসায় ও কেনাবেচা যাদের আল্লাহর স্মরণ, সালাত কায়েম ও জাকাত আদায় থেকে বিরত রাখতে পারে না।’ (সুরা আন নূর, আয়াত : ৩৭)
সুরা আন নূরের ওই আয়াতে ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে। ঈমানদাররা যেমন শুধু মসজিদে বসে থাকতে পারে না, তেমনি তারা আল্লাহর কথা ভুলে শুধু ব্যবসায়-বাণিজ্যে লিপ্ত থাকতে পারে না। এ দুটোর মধ্যে সমন্বয় করাই প্রকৃত ইসলাম।
ব্যবসায়-বাণিজ্যের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘রিজিকের ১০ অংশের ৯ অংশই ব্যবসায় বাণিজ্যের মধ্যে এবং এক অংশ গবাদি পশুর কাজে নিহিত।’ (আল জামিউস সাগির, হাদিস : ৩২৮১)
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যবসায়ীদের মর্যাদা তুলে ধরে বলেন, ‘কিয়ামতের দিন সৎ ব্যবসায়ীরা সিদ্দিক ও শহীদের সঙ্গে উঠবেন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২১৩৯)
তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে ধোঁকা ও প্রতারণার ব্যাপারে ইসলামে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন, তখন সে খাদ্যশস্য বিক্রয় করছিল। তিনি খাদ্যশস্যের স্তুপের মধ্যে তাঁর হাত ঢুকালেন এবং আদ্রতা অনুভব করলেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ধোঁকা দেয় সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (ইবনে মাজাহ: ২২২৪)
এনটি