অন্তর পবিত্র রাখার দোয়া
মানুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছায় গুনাহ হয়ে থাকে। গুনাহ হয়ে গেলে— ক্ষমা পাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে ওঠে। কীভাবে আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা লাভ করবে— তা ভেবে দিনকাল পার করেন। ক্ষমা লাভের যথাসাধ্য মাধ্যমগুলো অবলম্বন করেন।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তুমি সালাত কায়েম কর দিবসের দুই প্রান্তভাগে এবং রজনীর প্রথমাংশে। অবশ্যই নেক আমল পাপসমূহ মিটিয়ে দেয়। যারা উপদেশ গ্রহণ করে, এ তাদের জন্য এক উপদেশ।’ (সুরা হুদ, আয়াত : ১১৪)
বিজ্ঞাপন
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমাদের যা (পাপ) করতে নিষেধ করা হয়েছে তার মধ্যে যা গুরুতর (কবিরা) তা থেকে বিরত থাকলে তোমাদের লঘুতর পাপগুলো মোচন করব এবং তোমাদেরকে সম্মানজনক স্থানে প্রবেশ করাব।’ -(সুরা : নিসা, আয়াত : ৩১)
শয়তান মানুষের মনে পাপের কুমন্ত্রণা দেয়। ফলে মানুষ পাপ কাজে লিপ্ত হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জেনে রাখো, শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা (মুদগা) আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীর তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীর তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখো, সে গোশতের টুকরাটি হলো কলব।’ (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩৯-৪০, হাদিস: ৫০)।
তাই যাবতীয় গুনাহ থেকে নিজেকে পবিত্র রাখার চেষ্টা করে যাওয়া। পাশাপাশি আল্লাহর কাছে নিজের অন্তরকে গুনাহ থেকে নিষ্কলুষ রাখার জন্য দোয়া করা। আল্লাহর রাসুল (সা.) আল্লাহর কাছে গুনাহমুক্ত অন্তরের প্রার্থনা করতেন।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গুনাহ থেকে অন্তর পরিশুদ্ধ ও পবিত্র রাখতে এই দোয়া পড়তেন-
اللهم اغسل قلبي بماء الثلج والبرد، ونق قلبي من الخطايا كما نقيت الثوب الأبيض من الدنس، وباعد بيني وبين خطاياي كما باعدت بين المشرق والمغرب
বাংলা উচ্চারণ :
‘আল্লাহুম্মাগসিল কলবি বিমাইস সালজি ওয়াল বারাদি, ওয়া নাক্কি কালবি মিনাল খাতায়া, কামা নাক্কাইতাস সাওবাল আবয়াদা মিনাদ দানাসি, ওয়া বাইদ বাইনি ওয়া বাইনা খাতায়া কামা বায়াদতা বাইনাল মাশরিকি ওয়াল মাগরিবি।’
অর্থ :
অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! আমার অন্তরকে বরফ ও শীতল পানি দিয়ে ধৌত করুন। আর আমার অন্তর গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিষ্কার করে দিন, যেভাবে আপনি শুভ্র বস্ত্রের ময়লা পরিষ্কার করে থাকেন এবং আমাকে আমার গুনাহ থেকে এতটা দূরে সরিয়ে রাখুন, পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তকে পশ্চিম প্রান্ত থেকে যত দূরে রেখেছেন।’ (বুখারি : ৬৩৭৭)
এনটি