হজ-ওমরাযাত্রীদের ফ্রি পরিবহন সেবা দেবে সৌদি আরব
হজ ও ওমরাযাত্রীদের বিশেষ সেবার অংশ হিসেবে ফ্রি পরিবহন সেবা চালু করা হয়েছে। সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে মক্কাগামী হজ ও ওমরাহযাত্রীরা এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। গত রোববার (১২ জানুয়ারি) এক টুইট বার্তায় এই তথ্য জানায় জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
টুইট বার্তায় বলা হয়, জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দরের এক নম্বর টার্মিনাল থেকে মক্কার মসজিদুল হারাম পর্যন্ত বিনা মূল্যে এই পরিবহন সেবা পাবেন হজ ও ওমরাহযাত্রীরা।
বিজ্ঞাপন
ফ্রি পরিবহন সেবা পেতে ইহরামের কাপড় পরা অবস্থায় হজ-ওমরাহযাত্রীদের (সৌদি নাগরিকদের ক্ষেত্রে) এনআইডি কার্ড বা (বিদেশিদের ক্ষেত্রে) পাসপোর্ট দেখাতে হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
সৌদি গেজেট সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর বাস ছাড়বে।
এর আগে ২০২১ সালে মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশ্যে দ্রুতগামী হারামাইন ট্রেন পুরোপুরি চালু হয়। ৬০ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল বা ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মেগা প্রকল্পটি মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম রেলপথ। এই ট্রেনে প্রতিবছর ছয় কোটি যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এবং কিং আবদুল্লাহ ইকোনমিক সিটি (কেএইসি) রুটেও হারামাইন ট্রেন চলাচল করে।
এদিকে গত সপ্তাহে করোনা ভাইরাসের বিধিনিষেধ একেবারে উঠিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়।
এবার গত বছরের তুলনায় হজ প্যাকেজের মূল্য ৩০ শতাংশ কমানোর তথ্য জানিয়েছেন সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ডক্টর আমর বিন রেদা আল মাদ্দাহ।
গত ১৫ জানুয়ারি এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, সৌদির অভ্যন্তরীণ যে হজ প্যাকেজগুলো রয়েছে সেগুলো কোম্পানির সেবার মানের ওপর ভিত্তি করে কয়েকটি ক্যাটগরিতে ভাগ করা হয়েছে। হজ ক্যাম্পে সেবার মান দেখে এটি নির্ধারণ করা হবে।
এদিকে গত সপ্তাহে হজ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সৌদি আরবের স্থানীয় মুসল্লিরা চাইলে তিন ভাগে হজ প্যাকেজের অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন। আগে একসঙ্গে পুরো অর্থ পরিশোধের নিয়ম ছিল।
প্রতি বছর সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় ২৫ লাখ মানুষ হজ পালন করেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের বিধিনিষেধের কারণে এ সংখ্যা ২০২০ সালে কয়েক হাজারে নামিয়ে নিয়ে আসা হয়। ২০২১ সালে সৌদির ভেতর অবস্থানরত ৬০ হাজার মুসল্লি হজ পালনের সুযোগ পান। আর গত বছর বিদেশিসহ ১০ লাখ মানুষ হজ পালন করেছিলেন।
সূত্র : সৌদি গেজেট, আল আরাবিয়া, গালফ
এনটি