প্রতীকী ছবি

নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য নামাজের ভেতরে ছয়টি বিষয় ফরজ। এর একটি সেজদা করা। সিজদায় যাওয়ার নিয়ম হলো- শরীরের যে অঙ্গ জমিনের সবচেয়ে নিকটবর্তী— সিজদার সময়ে সেই অঙ্গ সর্বপ্রথম জমিনে নিকটবর্তী হবে। সুতরাং সিজদা সময়ে সর্বপ্রথম হাঁটু জমিনের নিকটবর্তী হবে বা রাখা হবে। এরপর ক্রমান্বয়ে হাত, নাক ও তারপর কপাল রাখা হবে।

হাদিস শরিফে আছে, ওয়াইল ইবনে হুজর (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) সিজদায় যাওয়ার সময় আমি তাকে হাতের পূর্বে হাঁটু রাখতে এবং সিজদা থেকে উঠার সময় হাঁটুর পূর্বে হাত জমিন থেকে উঠাতে দেখেছি। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১/১২২)

সিজদাতে অনেক সময় ঘুমের ভাব চলে আসে। এতে অজু ভেঙে যায় কিনা এ নিয়ে সন্দেহে পড়ে যান অনেকে।

এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফেকাহ শাস্ত্রবিদেরা বলেন, সিজদায় শুধু ঘুমের ভাব আসার কারণে অজু ভাঙ্গে না। এর দলিল আলেমরা বলেন, হজরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

لَيْسَ عَلَى مَنْ نَامَ سَاجِدًا وُضُوءٌ، حَتَّى يَضْطَجِعَ، فَإِنَّهُ إِذَا اضْطَجَعَ، اسْتَرْخَتْ مَفَاصِلُهُ

সিজদা অবস্থায় ঘুমালে অজু ভঙ্গ হয় না, তবে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লে ভেঙ্গে যাবে, কেননা, চিৎ বা কাত হয়ে শুয়ে পড়লে শরীর ঢিলে হয়ে যায়। (এতে বাতকর্ম হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে)। -(মুসনাদে আহমাদ ২৩১৫ আবু দাউদ ২০২)

এনটি