প্রতীকী ছবি

ইসলামের মূলভিত্তি হলো ঈমান। ঈমান না থাকলে একজন মানুষকে মুসলিম হিসেবে গণ্য করা হয় না। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের প্রথমটাই ঈমান। নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত-এইগুলোর স্থান ঈমানের পরে।

বিখ্যাত সাহাবি হজরত ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পাঁচটি স্তম্ভের উপর ইসলামের ভিত্তি স্থাপিত। এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল, নামাজ প্রতিষ্ঠা করা, জাকাত আদায় করা, হজ পালন করা এবং রমজান মাসের রোজা পালন করা। -(সহীহ: বুখারী ৮, মুসলিম ১৬, তিরমিজি ২৬০৯, নাসায়ী ৫০০১, আহমাদ ৬০১৫, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ১৮৮০)

বর্তমানে মুসলিম সমাজের এক বিরাট অংশ কোরআন ও সুন্নাহর আলোকবর্তিকা এবং ঈমান ও আকিদার জ্ঞান থেকে বহুদূরে অবস্থান করছে। এতে করে কুফর, শিরক এবং বিভিন্ন বিভ্রান্তিতে নিপতিত হচ্ছেন মুসলমানেরা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তাদের অধিকাংশ আল্লাহর ওপর ঈমান রাখে, কিন্তু তারা মুশরিক।’ (সূরা ইউসূফ, আয়াত: ১০৬)

তাই ঈমান সংক্রান্ত সব ধরনের বিপর্যয় থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালার সাহায্য কামনা করা একান্ত কর্তব্য। আল্লাহর কাছে বেশি বেশি হেদায়েত প্রাপ্তির জন্য দোয়া করা উচিত যেন তিনি পথভ্রষ্ট না করেন এবং সঠিক পথের দিশা দেন। 

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আপনার পূর্বে আমি যে রাসূলই প্রেরণ করেছি তার প্রতি এ প্রত্যাদেশ পাঠিয়েছি যে, আমি ব্যতীত সত্যিকার কোনো মাবুদ বা উপাস্য নেই। সুতরাং তোমরা একমাত্র আমারই ইবাদত কর।’ (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ২৫)

অভিশপ্ত শয়তান মানুষকে সব সময় বিপথগামী করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। তার কুমন্ত্রণা থেকে বেঁচে ঈমান দৃঢ় রাখা সবার কর্তব্য। এজন্য কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত বিভিন্ন দোয়া পাঠ করা উচিত। অন্তরের দৃঢ়তার জন্য রাসুল (সা.) একটি দোয়া বেশি বেশি পড়তেন বলে হজরত উম্মে সালমা (রা.)-এর এক বর্ণনায় পাওয়া যায়। দোয়াটি হলো-

رَبَّـنَـا  لاَ  تُـزِغْ  قُـلُـوْبَـنَـا  بَـعْـدَ  اِذْ  هَـدَيْـتَـنَـا  وَهَـبْ  لَـنَـا  مِـنْ  لَّـدُنْـكَ  رَحْـمَـةً اِنَّـكَ  اَنْـتَ الـوَهَّـابُ

উচ্চারণঃ রাব্বানা লা তুযিগ্ ক্বুলুবানা বা’দা ইয্ হাদায়তানা ওয়া হাব্‌লানা মিল্লা দুনকা রাহমাহ্ ইন্নাকা আংতাল ওয়াহ্‌হাব।

অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! সরল পথ-প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্য লঙ্ঘন বা বক্র করো না এবং তোমার নিকট থেকে আমাদেরকে করুণা দান কর। নিশ্চয়ই তুমি মহা দাতা।- (তাফসিরে ইবনে কাসির)

এনটি