কাবা শরিফের নতুন খতিব শায়খ ইয়াসির বিন রাশেদ
কাবা শরীফের খতিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শায়খ ড. ইয়াসির বিন রাশেদ দাওসারিকে। দীর্ঘ দিন কাবা শরিফের ইমামের দায়িত্ব পালনের পর খতিব হিসেবে নিয়োগ পেলেন তিনি। তিনি শায়খ ইয়াসির দাওসারি নামে বেশি প্রসিদ্ধ।
একই দিনে মসজিদে নববিতে খতিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শায়খ খালেদ মুহান্না ও শায়খ আহমাদ বিন আলি হুজাইফিকে। নতুন নিয়োগ পাওয়া তিন খতিবই আগে এই পবিত্র দুই মসজিদের শুধু ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ রাজকীয় আদেশে তাদেরকে খতিব হিসেবে নিয়োগ দেন বলে হারামাইন শরিফাইনের খবরে জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর মসজিদে হারামের ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান শায়খ ড. ইয়াসির বিন রাশেদ দাওসারি। তখন তাকে মসজিদে হারামের ইমামদের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী ইমাম মনে করা হতো।
শায়খ ড. ইয়াসির বিন রাশেদ দাওসারির কোরআন তেলাওয়াতে সবাই মুগ্ধ ও চমৎকৃত হতেন। খতিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি ছিলেন কাবা শরিফের একমাত্র ইমাম, যিনি খতিব নন। এবার তিনিও খতিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
শায়খ দাওসারি বর্তমান বিশ্বের অন্যতম কারিদের একজন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খ্যাতিমান কারিদের কাছে ইলমে কিরাত শিখেছেন এবং সনদ লাভ করেছেন। সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্বও পালন করে থাকেন।
শায়খ ড. ইয়াসির আদ দাওসারি ১৯৮০ সালে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৫ বছর বয়সের আগেই শায়খ বাকরি তাবারাবিশি ও শায়খ ইবরাহিম আল আখদারের কাছে পবিত্র কোরআন হেফজ সম্পন্ন করেন।
অন্যদিকে মসজিদে নববিতেও শুধু ইমাম হিসেবে থাকা শায়খ খালেদ মুহান্না ও শায়খ আহমাদ বিন আলী হুজাইফিকেও খতিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
শায়খ আহমাদ বিন আলি হুজাইফির পিতা শায়খ আলি হুজাইফিও মসজিদে নববির সবচেয়ে প্রবীণ ইমাম-খতিব।
মসজিদে হারামের বর্তমান খতিবরা হলেন, শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ, শায়খ আব্দুর রহমান সুদাইস, শায়খ সাউদ শুরাইম, শায়খ উসামা খাইয়াত, শায়খ মাহের মুআইকিলি, শায়খ ফয়সাল গাজ্জাবি, শায়খ বান্দার বালিলা, শায়খ আবদুল্লাহ জুহানি ও শায়খ ইয়াসির দাওসারি।
অন্যদিকে মসজিদে নববির খতিবরা হলেন, শায়খ আলী হুজাইফি, শায়খ হুসাইন আলে শায়খ, শায়খ আব্দুল বারী ছুবাইতি, শায়খ আব্দুল মুহসিন কাসিম, শায়খ আব্দুল্লাহ বুআইজান, শায়খ সালাহ আল-বুদাইর, শায়খ আহমাদ বিন তালেব হামিদ, শায়খ আহমাদ বিন আলী হুজাইফি ও শায়খ খালেদ মুহান্না।
এনটি