পাকিস্তানের প্রখ্যাত আলেম, জামিয়া দারুল উলুম করাচির প্রধান, মুফতি রফি উসমানি ইন্তেকাল করেছেন। দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকার পর তিনি শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) ইন্তেকাল করেন। এসময় তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। 

তিনি দেশটির মুফতি আজম (প্রধান মুফতি) খ্যাত মুফতি মুহাম্মাদ শফি রহ.-এর ছেলে ও পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের শরিয়ত আপিল বিভাগের সাবেক বিচারক মুফতি তাকি উসমানির বড় ভাই। তার জানাজা নামাজ ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

মুফতি রফি উসমানি উপমহাদেশ ভাগের আগে হিন্দুস্থানের দেওবন্দ অঞ্চলে ১৯৩৬ সালের ২১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। 

তিনি ছিলেন একজন ধর্মীয় পণ্ডিত, আইনবিদ এবং লেখক। বাবা মুফতি শফী রহ.-এর হাতেই তার লেখাপড়ার হাতে খড়ি হয়। তিনি দারুল উলূম দেওবন্দ, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় এবং দারুল উলুম করাচির সাবেক ছাত্র ছিলেন। 

মুফতি রফি উসমানি আহকাম-ই-জাকাত, আল-তালিকাত আল-নাফিয়াহ আলা ফাতহ আল মুলহিম, ইসলাম মে আওরাত কি হুকমরানি এবং নাওয়াদির আল-ফিকহসহ বহু বই লিখেছেন। ফিকাহ, হাদিস এবং তাফসিরে তার জ্ঞানের জন্য স্বীকৃত মুফতি রফি উসমানি উর্দুতে প্রচুর বইয়ের পাশাপাশি আরবি ভাষায়ও উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন।

মুফতি রফি উসমানির ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। তিনি বলেন, 'মুফতি রফি উসমানী ফিকহ, হাদীস ও তাফসির ক্ষেত্রে মূল্যবান সেবা প্রদান করেছেন। তার ধর্মীয় ও একাডেমিক সেবা এবং ধর্মীয় জ্ঞানের প্রচারের জন্য সেবা সবসময় স্মরণ করা হবে।'

ফিকহ, হাদীস ও তাফসিরের ক্ষেত্রে মুফতি রফি উসমানীর মূল্যবান সেবা প্রদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে উল্লেখ করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান বলেছেন, তিনি পৃথিবীর সামনে ইসলামের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছেন।

উপমহাদেশের প্রসিদ্ধ আলেম, মাওলানা তারেক জামিলও তার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘মুফতি রফি উসমানি আর আমাদের মাঝে নেই, শুধু দেশ নয় পুরো মুসলিম বিশ্বে তার ব্যক্তিত্বের প্রভাব রয়েছে। আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন এবং তার স্বজনদের ধৈর্যধারণের শক্তি দিন।’

এনটি