প্রতীকী ছবি

কোরআন তিলাওয়াত করতে প্রথমে সব ধরনের পার্থিব ব্যস্ততামুক্ত হতে হয় এবং পড়ার সময় এ কথা মনে করতে হবে যে এটা আল্লাহ তায়ালার বাণী। এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই এবং এটা আমাদের কল্যাণার্থে নাজিল করা হয়েছে। এ কিতাব আদর্শ জীবনের পথ দেখায়।

ফজরের সময় তিলাওয়াতের অধিক ফজিলত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন কোরআন তিলাওয়াত করা হয়, তখন কান লাগিয়ে শোনো এবং চুপ থেকো।’ এ থেকে প্রতীয়মান হয়, উঁচু স্বরে কোরআন তিলাওয়াত করা বৈধ। যদি কোনো বাধা না থাকে অথবা তিলাওয়াত শোনার প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকে, তাহলে উঁচু স্বরে পড়ার বিনিময়ে সওয়াব পাওয়া যাবে। অজু ছাড়া তিলাওয়াত জায়েজ আছে; তবে কোরআন স্পর্শ করা জায়েজ নয়

কোরআন তিলাওয়াতের জন্য মুখে উচ্চারণ করা শর্ত। তাই মুখে উচ্চারণ না করে কেবল মনে মনে ধ্যান করলে কোরআন পাঠের সওয়াব পাওয়া যায় না। অবশ্য কোরআন দেখা ও স্পর্শ করার সওয়াব পাওয়া যাবে। এখানে তিলাওয়াতের কয়েকটি আদব তুলে ধরা হলো

১. পবিত্র হয়ে পরিচ্ছন্ন স্থানে কিবলামুখী হয়ে বসা।

২. নিজেকে আল্লাহর সামনে তুচ্ছ জ্ঞান করা।

৩. আউজুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহ পড়ে তিলাওয়াত শুরু করা।

৪. ধীরে ধীরে অনুভব করে তিলাওয়াত করা।

৫. রহমতের আয়াতে রহমত প্রার্থনা করা।

৬. শাস্তির আয়াতের বেলায় পানাহ চাওয়া।

৭. জনসমাগমের জায়গায় তিলাওয়াত না করা।

৮. তিলাওয়াতকালে দুনিয়াবি কাজে মশগুল না হওয়া।

৯. অন্য কোনো কাজ করতে হলে কোরআন বন্ধ করা।

১০. কোরআনের অক্ষর-শব্দ-বাক্য শুদ্ধ ও সুন্দরভাবে সুর করে আদায় করা।

আমাদের উচিত, কোরআনের শুদ্ধ তিলাওয়াত শেখার চেষ্টা করা, নিয়মিত কোরআনে তিলাওয়াত করা এবং আদবগুলো যথাযথভাবে পালন করা।

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক