জমে উঠেছে বায়তুল মোকাররমের ইসলামি বইমেলা
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ চত্বরে চলছে এক মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলা। রবিউল আওয়াল উপলক্ষে শুরু হওয়া এই বইমেলা চলবে আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতি বছরের মতো এবারও এই মেলার আয়োজন করেছে ইসলামী ফাউন্ডেশন।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটের এই মেলায় পাঠক-লেখকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কেউ স্টলে দাঁড়িয়ে নেড়েচেড়ে বই দেখছিলেন, কেউবা বই নিয়ে কথা বলছিলেন, অনেকেই আবার লেখকের পিছু পিছু ছুটছিলেন অটোগ্রাফ নিতে। বইমেলায় হঠাৎ করে লেখককে দেখতে পেয়ে যেন আপ্লুত হয়ে পড়েন পাঠকরা। অটোগ্রাফ সেলফি তুলতে ব্যস্ত সবাই।
বিজ্ঞাপন
মেলায় স্কুল, কলেজ, মাদরাসা শিক্ষার্থী এবং সব ধরনের পাঠকদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। শুক্রবার শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত মেলায় ছিল লেখক-পাঠকদের উপচেপড়া ভিড়। বইমেলাকে কেন্দ্র করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বায়তুল বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ চত্বরে লেখক, কবি, সাহিত্যিক ও পাঠকদের সাহিত্য আড্ডা বসতে দেখা গেছে। মেলাকে ঘিরে এবার বেশ কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।
রায়হান আহমেদ তামিম নামে বইমেলায় আসা পাঠকদের একজন বলেছেন, মেলায় ইসলামি বইয়ের ব্যাপক সমাহার রয়েছে। এখানে আলেম ও ইসলামী ঘরনার লেখকদের প্রায় সব ধরণের বই পাওয়া যাচ্ছে। তবে মেলায় বেশি বেশি পাঠকের সমাগম ঘটাতে বইয়ের ক্যাটাগরিতে ভিন্নতা আনা প্রয়োজন এবং মেলা উপলক্ষে আরো বেশি বেশি নতুন বই প্রকাশ করা প্রয়োজন।
তাশরিফ আহমদ নামে আরেক পাঠক জানান, মেলায় বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষার বিভিন্ন বই রয়েছে। ইসলামিক উপন্যাস, ইতিহাস, গল্প, প্রবন্ধ, হুকুম-আহকাম, মাসয়ালা-মাসায়েলসহ সব ধরনের ইসলামিক বইয়ের দেখা মিলছে মেলায়। এছাড়াও মাদ্রাসার দারস কিতাব, আরবি শরাহ ও তাফসিরগ্রন্থও পাওয়া যাচ্ছে। সেখান থেকে পছন্দের লেখকের বইসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির বই স্টলগুলো ঘুরে কিনতে পারছেন পাঠকেরা।
বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিদিনই পাঠক ও দর্শনার্থীদের ভিড় জমছে। তবে বৃহস্পতি ও শুক্রবার এলে পাঠকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ। আমরাও পাঠকের চাহিদা পূরণ করতে পারছি। মেলায় এসে কেউ খালি হাতে ফেরত যান না, অন্তত একটি বই হলেও তারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
এ মেলায় মেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বই বিক্রি কেন্দ্র, রাহনুমা প্রকাশনী, বই ঘর, সমকালীন প্রকাশন, কালান্তর প্রকাশনী, চেতনা প্রকাশন, মাকতাবাতুল ফোরকান, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স, সালসাবীল পাবলিকেশন্স, ইত্তেহাদ পাবলিকেশন্স, রফরফ প্রকাশনীসহ ৬৪টি স্টল রয়েছে। এ বছরই প্রথম ‘লেখক কর্নার’ চালু করেছে কর্তৃপক্ষ।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকছে মেলার কার্যক্রম। প্রতিদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টলে স্টলে দেখা মিলছে উপচে পড়া ভিড়।