প্রতীকী ছবি

নামাজ আদায় সহী হওয়ার জন্য ১৩টি ফরজ মানা আবশ্যক। এর মধ্যে একটি হলো কেরাত পড়া। অর্থাৎ কোরআন শরিফ থেকে ন্যূনতম ছোট তিন আয়াত পরিমাণ অথবা বড় এক আয়াত পড়া ফরজ। -(বুখারি ২/৯২৪, হাদিস : ৬২৫১, তিরমিজি ১/৬৬, ৬৭, হাদিস : ৩০২, ৩০৩হাদিসটি সহিহ)

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘বলে দাও, তোমরা আল্লাহ বা রহমান যে নামেই ডাকো না কেন, সব সুন্দর নাম তো তাঁরই। নামাজে তোমাদের স্বর খুব উচ্চ বা অতিশয় ক্ষীণ কোরো না, বরং এ দুইয়ের মধ্যপন্থা অবলম্বন করো। -(সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১১০) 

অতএব কেরাত ছাড়া নামাজ আদায় হবে না। এখন প্রশ্ন হলো-

কেউ যদি নামাজ পড়তে গিয়ে কোরআনের কোনও আয়াত দুই তিনবার পাঠ করে ফেলে। যেমন, ‘ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম’ অথবা অন্য কোনও আয়াত বারবার পড়ে ফেলে— তাহলে কি নামাজ শুদ্ধ হবে? নাকি সাহু সিজদাহ দেওয়া লাগবে?

এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন- নামাজ পড়তে গিয়ে ইচ্ছাকৃত একই আয়াত কয়েকবার পাঠ করা ঠিক নয়। কোনও কারণ ছাড়া এক আয়াত বারবার পড়াকে মাকরূহ হিসেবেও গণ্য করেছেন কোনও কোনও আলেম। তবে এ ভুলের কারণে সাহু সিজদা দিতে হয় না। -(ফাতাওয়া বাজ্জাজিয়া : ৪/৪০; রাদ্দুল মুহতার : ১/৫৪৬, দেওবন্দ ফতোয়া, ৬১২৭৮০)

আলেমরা বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) উম্মতকে প্রত্যেকটি কাজ আমলের মাধ্যমে শিখিয়ে দিয়েছেন। তার কাজগুলো উম্মতের জন্য অনুসরণীয়। তিনি নামাজ পড়ার সময় সাধারণত একই আয়াত বা একই সুরা বারবার পড়তেন না। 

তবে একবারের ঘটনা হাদিস শরিফে এভাবে এসেছে, মুআজ ইবনে আবদুল্লাহ আল-জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জুহায়না গোত্রের এক ব্যক্তি তাকে জানান যে, তিনি নবী কারিম (সা.)-কে ফজরের নামাজের উভয় রাকাতে সুরা ‘ইযা যুলযিলাতিল আরধ’ পড়তে শুনেছেন। তিনি আরও বলেন, আমি জানি না আল্লাহর রাসুল (সা.) ভুলবশত এমন করেছিলেন নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে তা পড়েছিলেন। -(আবু দাউদ, হাদিস : ৮১৬)

আম্মাজান হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সাহাবিকে আমীর বানিয়ে প্রেরণ করেছিলের। ওই সাহাবি প্রত্যেক রাকাত বা প্রত্যেক দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ইখলাস পড়তেন। রাসূলুল্লাহ তাকে নিষেধ করেননি। -(বুখারি-৭৩৭৫, মুসলিম-৮১৩)

এনটি